মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

৬ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। একইসাথে এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৩ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুন বুধবার ৩১ আগস্ট এ রায় ঘোষণা করেন।

কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামী হচ্ছে-কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ১-ই রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের এ-১ ব্লকের মৃত আলী আহমদ ও মৃত জাহেদা বেগমের পুত্র আমান উল্লাহ (৩০)। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রোহিঙ্গা শরনার্থী আমান উল্লাহ হাইকোর্ট থেকে জামিন নেওয়ার পর পলাতক রয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মোজাফফর আহমদ হেলালী।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ :
২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫ টা ১৫ মিনিটের দিকে কক্সবাজারস্থ র‍্যাব-১৫ এর একটি টিম উখিয়া উপজেলার বালুখালী পানবাজারস্থ বালুখালী কাসেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের বিপরীত পার্শ্বে এক অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা শরনার্থী আমান উল্লাহ-কে গ্রেপ্তার করে। পরে আমান উল্লাহ’র হাতে থাকা পলিথিনের ব্যাগ তল্লাশী করে ৬ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আবু নাঈম মিয়া বাদী হয়ে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর ১০(গ) ধারায় ধৃত রোহিঙ্গা আমান উল্লাহকে আসামী করে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার উখিয়া থানা মামলা নম্বর : ৪৮/২০২০ ইংরেজি, জিআর মামলা নম্বর : ৫১০/২০২০ ইংরেজি (টেকনাফ) এবং এসটি মামলা নম্বর ৫৭১/২০২১ ইংরেজি।

বিচার ও রায় :
মামলাটি বিচারের জন্য ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামী পক্ষে সাক্ষীদের জেরা, আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষা পর্যালোচনা, যুক্তিতর্ক সহ বিচারের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিজ্ঞ বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন বুধবার আসামি রোহিঙ্গা শরনার্থী আমান উল্লাহকে দোষী সাব্যস্থ করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৩ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন।