আবুল কালাম চট্টগ্রাম :
চট্টগ্রামে বিএনপি’র ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র র‌্যালিপূর্ব বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, হামলা মামলা যত করা হবে, আন্দোলনের গতি ততই বাড়বে।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীরর‍্যালিতে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মীসহ অংশ নেন। কাজীর দেউড়ি মোড় থেকে শুরু হয়ে র‌্যালি নূর আহমেদ সড়ক, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ সড়ক, জুবলি রোড হয়ে তিন পোলের মাথায় গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

ভোরে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দুপুরে মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পমাল্য দেওয়া হয়।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশে চলমান বিএনপির কর্মসূচিতে যে জনজোয়ার দেখা গেছে তা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার কারণে আওয়ামী লীগ নিজেদের পিঠ বাঁচানোর জন্য প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা হামলা শুরু করেছে।

বিএনপির গণজোয়ারকে নাশকতা প্রমাণ করতে মরিয়া আওয়ামী লীগ। নারায়ণগঞ্জে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে আওয়ামী পুলিশ বাহিনী গুলি করে যুবদল নেতাকে হত্যা করেছে। সীতাকুণ্ডে বিএনপি যে সমাবেশ করেছে জনগণ তাতে রাস্তায় নেমে এসেছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও প্রশাসন চারটি মামলা দায়ের করে চারশ’ জনকে আসামি করেছে। এসব বেআইনি কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে, জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। মামলা হামলা চালিয়ে জনগণের জাগরণ আর থামানো যাবে না। যতই মামলা হোক, হামলা হোক, বাধা আসুক সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত জনগণের এ আন্দোলন চলবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুুল হাশেম বক্কর বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে বিএনপির আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য সরকারের পেটুয়া বাহিনীর হামলায় সারা দেশের অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত ও গ্রেফতার করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাতে যুবদলের একজন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যা করে, গুম করে, হামলা করে জনগণের ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন, গণতন্ত্রকে ফিরে পাবার যে আন্দোলন সেই আন্দোলনকে কখনোই দমানো যাবে না। জনগণের বিজয় চলছে, চলতে থাকবে।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এমএ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, এসএম সাইফুল আলম, এসকে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন,
মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খান ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু প্রমুখ।