# ব্যয় ৮০ কোটি টাকা
# বিদ্যুৎ কাজের অগ্রগতি ৬০ ভাগ,
# ৩৩ কেভি মেগাওয়াট
শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:
দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন কক্সবাজারের কুতুবদিয়া। কক্সবাজারের মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে থেকে কুতুবদিয়ায় সাগরের ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সাবমেরিন কেবল স্থাপনের মাধ্যমে তলদেশ দিয়ে বিদ্যুৎ যাবে এ দ্বীপে। ২০২২ সালে ১৬ ডিসেম্বর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে বলে এ দ্বীপ ধারণা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষের দাবি, এই বিদ্যুৎ যেন প্রতিটি ঘরে ঘরেই পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এ ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে ৬০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ— তিন দিকে বঙ্গোপসাগর আর পূর্বে কুতুবদিয়া চ্যানেল। মধ্যখানে প্রায় ২১৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে সাগরের বুকে ভেসে থাকা একটি দ্বীপ কুতুবদিয়া।
এদিকে, প্রায় ৮০ দশকের দিকে উপজেলা সদরে ১০ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন স্থাপন করে ডিজেল চালিত জেনারেটর মেশিন দিয়ে সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত ১১ টা পর্যন্ত দৈনিক পাঁচ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করতো। যান্ত্রিকত্রুটি নতুন বিতরণ লাইন যুক্ত হয়েছে ১৪৭ কি.মি.মোট ১৫৭ কি.মি.। বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনের কাজ চলমান রয়েছে বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কখনো বিদ্যুতের আলো পাব, তা কল্পনাও করিনি। এখানে বিদ্যুৎ কাজ শেষ হলে লবণ পরিশোধন শিল্প, মৎস্য চিংড়ি ও শুটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, গভীর সমুদ্রগামী জাহাজ নির্মাণ শিল্প, শিপ বেকিং ইয়ার্ডে ও বরফ কলসহ আরও বিভিন্ন শিল্প কারখানা গড়ে ওঠার ও পর্যটন শিল্প বিকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা খুবই আনন্দিত।
এ বিষয়ে সংসদ আশেক উল্লাহ রফিক জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহার ছিল বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার। সেই লক্ষ্যেই কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে ৩৩ কেভি মেগাওয়ার্ড
উৎপাদনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চাহিদা পুরণ করবে সরকার। আশা করি, ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে কুতুবদিয়া দ্বীপে।
কুতুবদিয়া আবাসিক প্রকৌশলী মু আবুল হাসনাত বলেন, নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
৩৩ কেভির মেগাওয়ার্ড এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ ৬০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২২ সালে ১৬ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ, ১ মেগাওয়ার্ড বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠান ফ্যান এশিয়া পাওয়ার সার্ভিস লিমিটেড মাধ্যমে ২০০৬-৭ অর্থ বছরে বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র কাজ শুরু করে। আবার ২০১৬ সালে ২৩ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ২০টি টারবাইন দিয়ে বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নতুন করে নিমাণ করা হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।