স্পোর্টস ডেস্ক: টান টান উত্তেজনার ম্যাচে আফগানিস্তানকে ১ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে চলে গেল পাকিস্তান। একই সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল ভারতের। আফগানদের ছয় উইকেটে ১২৯ রানের জবাবে বাবর আজমরা ১৯.২ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩১ রান তুললেন। এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেন পাক অধিনায়ক।
জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ১৩০ রান। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও ব্যর্থ বাবর। এশিয়া কাপে তাঁকে চেনা ছন্দে দেখা যাচ্ছে না। পাক ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আউট হলেন তিনি। বাবরকে ফেরালেন ফজলহক ফারুকি। এক রানে অধিনায়ককে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। সেই চাপ কাটিয়ে ওঠার আগেই রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন ফখর জামানও। তিনি ন’বল খেলে করলেন পাঁচ রান। উইকেটের অন্য প্রান্ত অবশ্য আগলে রেখেছিলেন হাসপাতাল থেকে ফেরা মহম্মদ রিজওয়ান। তিনিও বেশি ক্ষণ টিকলেন না। ২৬ বলে ২০ রান করলেন পাক উইকেট রক্ষক-ব্যাটার। তাঁকে আউট করলেন রশিদ খান। আফগান স্পিনারদের সামনে অতিরিক্ত সাবধানী হতে গিয়ে মাঝে চাপ বাড়িয়ে ফেলেন পাক ব্যাটাররা। যদিও লক্ষ্য বড় না হওয়ায় পরিস্থিতি সামলে নেন চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা ইফতিকার আহমেদ এবং পাঁচ নম্বরে নামা শাদাব খান। ইফতিকার ৩৩ বলে ৩০ রান করলেন। চতুর্থ উইকেটে জুটিতে উঠল গুরুত্বপূর্ণ ৪২ রান। ২৬ বলে ৩৬ রান করে আউট হলেন শাদাব। তাঁকেও আউট করলেন রশিদ। রান পেলেন না ছয় নম্বরে নামা মহম্মদ নওয়াজ (চার)। ব্যর্থ হলেন খুশদিল শাহও (এক)। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে পাক ইনিংসের উপর চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকে। ব্যাট ব্যাটারদের দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, তাঁরা স্নায়ুর চাপে ভুগছিলেন। আসিফ আলিও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হলেন আট বলে ১৬ রান করে। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে জয় এনে দিলেন নাসিম শাহ। শেয ওভারে বড় দু’টি ছয় মেরে পাক শিবিরকে চাপ মুক্ত করেন জোরে বোলার। চার বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
বুধবার টস জিতে আফগানিস্তানকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী মেজাজেই শুরু করেন আফগান ব্যাটাররা। কিন্তু ওপেনিং জু’টি ভাঙতেই খেই হারিয়ে ফেলল আফগানিস্তান। উইকেট রক্ষক-ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরবাজকে আউট করেন হ্যারিস রউফ। দু’টি ছয়ের সাহায্যে ১১ বলে ১৭ রান করে তিনি সাজঘরে ফিরতেই ছন্দ পতন। অন্য ওপেনার হজরতুল্লাহ জাজাই চারটি বাউন্ডারির সাহায্যে করলেন ১৭ বলে ২১ রান। তাঁকে ফেরালেন মহম্মদ হাসনাইন। প্রথম উইকেটের জুটিতে তাঁরা ৩.৫ ওভারে তোলেন ৩৬ রান। এর পর ক্রমশ আফগানিস্তানের রান তোলার গতি কমতে শুরু করে। তিন নম্বরে নামা ইব্রাহিম জারদান ৩৭ বলে ৩৫ রানের ইনিংস না খেললে মহম্মদ নবির দলকে বড় লজ্জার মুখোমুখি হতে হত। রউফের বলে সাজঘরে ফেরার আগে জারদানের ব্যাট থেকে এল দু’টি চার এবং একটি ছয়।
আফগানিস্তানের আর কোনও ব্যাটারই পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের সামনে স্বচ্ছন্দে খেলতে পারলেন না। করিম জানাত (১৫), নাজিবুল্লাহ জারদান (১০), নবিরা (শূন্য) কেউই দলের ইনিংসের হাল ধরতে পারলেন না। শেষ দিকে রশিদ ১৮ এবং আজমাতুল্লাহ ওমরজাই ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। আফগানিস্তানের ইনিংস শেষ হয় ছয় উইকেটে ১২৯ রানে। পাকিস্তানের সফলতম বোলার রউফ ২৬ রান দিয়ে দু’টি উইকেট পেলেন। নাসিম শাহ ১৯ রান দিয়ে এক উইকেট নিলেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন হাসনাইন, মহম্মদ নওয়াজ এবং শাদাব খান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।