রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের বড় ছেলে চার্লস, প্রিন্স অফ ওয়েলস, অবশেষে ব্রিটেনের রাজা হয়েছেন। কিন্তু ৭৩ বছর বয়সে, তার রাজত্বের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে তাঁর বয়স এবং বিশ্বজুড়ে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের ক্ষয়িষ্ণু প্রভাব। চার্লস কার্যত তার পুরো জীবন উত্তরাধিকারী হিসাবে কাটিয়েছেন এবং নিজের কাজের মধ্য দিয়ে একজন পরিচিত ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন। এমনকি যখন বেশিরভাগ লোক অবসর গ্রহণ করেছেন এমন বয়সে তিনি একটি নতুন চাকরিও শুরু করেন। কিন্তু তার মা যে নিরপেক্ষতা দেখেছেন তার সম্পূর্ণ বিপরীতে দাঁড়িয়ে তিনি মাঝে মাঝেই দৃঢ়ভাবে নিজের ধারনার পক্ষে মতামত দিয়ে বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছেন। এই ঘটনা তাঁকে আরও স্পষ্টবাদী এবং বিভাজনকারী ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।
রাজকুমারী এলিজাবেথ যখন ২৫ বছর বয়সে রানী হয়েছিলেন তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়া ব্রিটেনে ব্যাপক জনপ্রিয় সমর্থন পান তিনি। অন্যদিকে জনসাধারণ চার্লস সম্পর্কে তাদের মতামত তা ভাল হোক অথবা খারাপ,তৈরি করতে কয়েক দশক পেয়েছে।
২০২২ সালের মে মাসে একটি YouGov-এর পোলে দেখা গিয়েছে চার্লসের ৫৬ শতাংশ অনুমোদনের রেটিং ছিল।চার্লসের আগে ছিলেন রানী। তাঁর অনুমোদন রেটিং ছিল ৮১ শতাংশ। অন্যদিকে চার্লসের বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়ামের রেটিং ছিল ৭৭ শতাংশ এবং উইলিয়ামের স্ত্রী ক্যাথরিনের রেটিং ছিল ৭৬ শতাংশ। ছার্লসের সকলের তুলনায় অনেকটাই পিছনে ছিলেন।
চার্লসের দ্বিতীয় স্ত্রী ক্যামিলা ৪৮ শতাংশ রেটিং নিয়ে অন্যদের তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে ছিলেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে তার বাবা প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যু এবং তার মায়ের স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার পর থেকে, চার্লস লক্ষণীয়ভাবে আরও বেশি দৃশ্যমান হয়েছেন জনসমক্ষে। ক্যামিলা, ছোট ভাই এডওয়ার্ড, উইলিয়াম এবং কেটকে সঙ্গে তার চারপাশে একটি অভ্যন্তরীণ শক্ত বৃত্ত তৈরি করেছে।
রাজপরিবারের লেখক ফিল ড্যাম্পিয়ার বলেন, ‘যাই ঘটুক না কেন, তিনি দীর্ঘদিন রাজত্ব করতে যাচ্ছেন না এবং এটি তার পক্ষে কঠিন হবে’। তিনি আরও বলেন, ‘তবে তিনি নিজে এটি দীর্ঘদিন ধরে জানেন এবং আমি মনে করি লোকেরা এখন ভবিষ্যতের জন্য উইলিয়াম এবং কেটকে দেখতে শুরু করবে’।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।