আমি নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কক্সবাজার জেলা। পিতা: মরহুম রাষ্ট্রদূত, সাবেক সাংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী। স্বামী: স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা মরহুম আসিফ কামাল চৌধুরী।
গত ১৪/০৯/২০২২ ইং তারিখে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অসত্য, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশিত করা হয়েছে। যাহা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন। যার মাধ্যমে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মুলত ২০১৯ সালে আমি সুগন্ধা পয়েন্টে ২০০০৩ খতিয়ানের ২০০৩ দাগের জমিখানা ক্রয় করবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলে, এসিল্যান্ড কক্সবাজারের কাছে শরনাপন্ন হই। তিনি জায়গাটি সম্পর্কে দলিল নিশ্চিত করেন৷ এরপর উক্ত জায়গাখানা জমির মালিক আতাউল্লাহ সিদ্দিকী যথাযথ ভাবে জমি রেজিষ্ট্রি করেছে কিনা জানতে সাব রেজিষ্ট্রার মাজেদা বেগমের শরনাপন্ন হই। তিনি সমস্ত নথি সহকারে ২০১৮ সালে আতাউল্লাহ সিদ্দিকী রেজিষ্ট্রি নেওয়া সময়কার তথ্য আমাকে সঠিক ও নির্ভূল বলে দেখান। তার তত্ত্বাবধানে পন্যমুল্যে অফেরতযোগ্য পাওয়ার অব এটর্নীর পেয়েছিলেন আতাউল্লাহ সিদ্দিকী। এরপর আমি আতাউল্লাহ সিদ্দিকীর কাছ হইতে যথাযথ মুল্যে কক্সবাজার সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে জমিখানা বায়না রেজিষ্ট্রি করি। জমির পরিমাণ মোট ৩০শতক। তৎকালীন মান্যবর জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের প্রত্যক্ষ লিখিত প্রতিবেদনে সুগন্ধা পয়েন্টে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এসিল্যান্ডের মাধ্যমে জমিখানা পরিমাপ করে আমাকে বুঝিয়ে দেন। যা জেলা প্রশাসকের সাক্ষর সম্বলিত প্রতিবেদন আমার কাছে রয়েছে।
এরপর আমি ও আতাউল্লাহ সিদ্দিকী গং উক্ত জমিতে দোকানপাট ও তৈরী করি। কিন্ত দুঃখজনকভাবে কক্সবাজারের একটি ভূমিদস্যু চক্র ওবাইদুল্লাহ ও মোনাফ গং জায়গাখানা দখল নিতে আতাউল্লাহ সিদ্দিকীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে জেলে প্রেরণ করে এবং এরপরই আতাউল্লাহ সিদ্দিকীর জমির অংশটুকু দখল করে নেন। প্রচুর প্রতাপশালী এই গং বিভিন্ন সময় এই জেলায় হত্যা ও ভূমিদস্যুতা করে বেড়ায়। পরপর বহু মামলায় জর্জরিত করে নিরীহ আতাউল্লাহকে কয়েকবছর জেলে রাখা হয়। বর্তমানে সে জামিনে ফিরলেও সন্ত্রাসীর ভয়ে পরিবার নিয়ে এখনো গৃহবন্ধী আছে৷ কিন্ত আমার জায়গার অংশটুকু কখনো দখল করতে চায়নি এবং দাবী করেনি। দীর্ঘদিন যাবত উক্ত জায়গায় আমার ভাড়াটিয়া উক্ত জায়গায় ব্যবসা করে আসছে।
এখানে উল্লেখ্য যে, নূরুল আবসার নামক যে ব্যাক্তি আমার নামে সাধারণ ডায়েরী করেন, উক্ত ব্যাক্তিকে আমি কখনো দেখিনি এবং চিনিও না। এছাড়া, হঠাৎ গত ১১/০৯/২০২২ ইং তারিখ রাত ৯টায় এএসআই মোশাররফ আমার ক্রয়কৃত বৈধ জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে ভূমিদস্যু ওবাইদুল্লাহ এর সাথে মোবাইলে কথোপকথন করতে থাকে। আমি তাকে আমার জায়গায় কি কারনে প্রবেশ করেছে জানতে চাইলে, তিনি আমাকে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি এবং আদালতের ১৪৪ এর বিষয়ে কোন বৈধ কাগজপত্র ও দেখাতে পারেননি। তিনি আমার সামনে ফোনে ভূমিদস্যু ওবাইদুল্লাহকে আমার বিরুদ্ধে মামলার করার কুপরামর্শ দেন। এএসআই মোশাররফের এই ধরনের কর্মকান্ডে আমি হতবাক হই। সেই রাতেই কক্সবাজার মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি অবহিত করি৷ পরেরদিন ১২/০৯/২০২২ ইং তারিখে দুপুর সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বশরীরে এসে জায়গা খানার বিষয়ে ১৪৪ এর নোটিশ দিয়ে যান। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই উক্ত নোটিশ হাতে পাওয়ার পর জায়গায় নির্মাণধীন কাজ বন্ধ রেখেছি৷ আজ ১৪/০৯/২০২২ ইং তারিখে জায়গার সমস্ত বৈধ কাগজাদি আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে জমা দিয়েছি। মুলত কক্সবাজার জেলায় ভূমিদস্যুতার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করছি বিধায় আমাকে হয়রানি, হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এবং মানুষের পক্ষে আমার সাহসী কার্যক্রমকে বন্ধ করার প্রচেষ্টা বলে মনে করি। উল্লেখিত বিষয় সম্পর্কে প্রশাসনিক গভীর পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান কামনা করছি
নাজনীন সরওয়ার কাবেরী
সাংগঠনিক সম্পাদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
কক্সবাজার জেলা