মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু:
মিয়ানমারের বাহিনীর ভারী গুলিবর্ষণ ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমতাবস্থায় উপজেলার ঘুমধুম কেন্দ্রের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবরীজি'র দিকনির্দেশনায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সার্বিক সহযোগীতা ও পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বাহিনীর মর্টার শেলে শূন্যরেখার আশ্রিয়ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো: ইকবাল নামের এক কিশোর নিহত হওয়ার পর শুক্রবার রাতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রটি সরিয়ে উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জড়ো হন। সেখান থেকে বাসে করে উখিয়ার কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিয়ে কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়। উখিয়ার কুতুপালং কেন্দ্রে সহজে আসা–যাওয়ার জন্য কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের মরিচ্যা থেকে কুতুপালং পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার সড়ক যানজটমুক্ত রাখা হয়। শনিবার বেলা ১১টায় শুরু হয় বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা। পরীক্ষর্থীরা জানান এ কেন্দ্রে তারা নির্ভয়ে পরিক্ষা দিতে পেরে প্রশাসনের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘুমধুম কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের বসার জায়গা নির্ধারণসহ আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। সীমান্ত পরিস্থিতির কারণে এসএসসি কেন্দ্র সরিয়ে আনা হয়েছে। মুঠোফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন উখিয়া থানা পুলিশ ও ককসবাজার জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা পরীক্ষার্থীদের যথাসময়ে উখিয়া কুতুপালং কেন্দ্রে পৌছানোর জন্য সব ধরণের সহযোগীতা করেছেন।
ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের হল সুপার ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাইরুল বশর বলেন, শুক্রবার রাতেই তারা প্রশাসনের নির্দেশনা পেয়ে ঘুমধুম থেকে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে চলে আসেন ৪৯৯ জন পরীক্ষার্থী। সুন্দরভাবে এ কেন্দ্রে বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বাকী সব পরিক্ষা উখিয়া কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ইউএনও সালমা ফেরদৌস।