শেফাইল উদ্দিন:
কক্সবাজারের ঈদগাও উপজেলার পোকখালীর গোমাতলীর চর পাড়া এলাকায় ঘুর্নিঝড় সিত্রাংয়ের তান্ডবে প্লাবিত হওয়া শতাধিক পরিবার এখনো মানবেতর জীবন যাপন করছে। অন্যদিকে অত্র এলাকার সিব্লকসহ বিভিন্ন চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়ে প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খামারীরা ।
এ সব এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি ও মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ঠেকসই বেরিবাঁধ নির্মানের দাবি জানান স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা যায়, গোমাতলী চর পাড়াটি গড়ে উঠছে বেরিবাঁধ ঘেঁষে। এই গ্রামে শতাধিক পরিবারের বসবাস। এরা প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সাথে সংগ্রাম করে বেঁচে আছে। এ বানভাসী মানুষ দিন মুজুরি ও সাগরে মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করে। ঘর্নিঝড় সিত্রাংয়ের তান্ডবে বেরিবাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে প্লাবিত হয়েছে চর পাড়া এলাকার শতাধিক ঘর বাড়ি। অনেকের ঘর বাড়ি ভেঙে পানিতে ভেসে গেছে। ভেসে গেছে ঘরে থাকা খাদ্য দ্রব্য সহ মুল্যবান জিনিসপত্র ও আসবাবপত্র। এখনো অনেকে পানিবন্ধী অবস্থা থেকে উদ্ধার হচ্ছে। এরা পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন যাপন করছে।
এ দিকে বেরিবাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে সমতল হয়ে গেছে। ফলে জোয়ারের পানি এদের বাড়িতে চলে আসে। এরা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
অত্র এলাকার ছেনু আরা , বিধবা ছায়েরা বেগম,শিক্ষার্থী ফরায়েজ ও হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলে জানান , একটি ঠেকসই বেরিবাঁধের অভাবে এরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত।
জোয়ার আসলে বাড়িতে পানি চলে আসে। বৈরী আবহাওয়ায় এরা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন। এরা একটি টেকসই বেরিবাঁধ নির্মানের দাবি জানান। সিব্লকের চিংড়ি ঘেরের মালিক ইসলামাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু তৈয়ব চৌধুরী জানান,
বেরিবাঁধ না থাকায় ঘুর্নিঝড়ে সিব্লকে ওনার ৩৮০ হেক্টর চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়েছে এবং পার্শ্ববর্তী অন্যান্য চিংড়ি ঘের ও তলিয়ে গেছে। প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পোকখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে জানান, চরপাড়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করা হচ্ছে এবং বেড়িবাঁধের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোডের কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তানজির সাইফ আহমেদ বলেন- আমরা শীঘ্রই আপদকালীন বাজেট প্রণয়ন করে কাজ শুরু করব। ইতিমধ্যে আমরা পরিমাপ শেষ করেছি।
এলাকাবাসী মৎস্য সম্পদ ও অত্র এলাকার ঘরবাড়ি রক্ষায় ঠেকসই বেরিবাঁধ নির্মানের দাবি জানান।