আব্দুস সালাম,টেকনাফ (কক্সবাজার) :
কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়ক্যংয়ে দীর্ঘদিন ধরে এক দম্পতির মধ্যে কলহ ও ঝগড়া চলে আসছিল। সর্বশেষ গত বুধবার ঝগড়ার জের ধরে প্রচন্ড মারধর করেছে পাষন্ড স্বামী মো. আলম।
এরই জের ধরে নির্যাতিতা স্ত্রী ছমুদা বেগম (৩২) শনিবার
দিন দুপুরে আত্মহত্যা করেছে। অনেকের ধারনা তাকে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (৫ নভেম্ব) সকাল ১১ টার দিকে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল এলাকায় দরজা জানালা বন্ধ করে আত্মহত্যা করা ওই নারীটি। তিনি স্থানীয় মো. আলমের স্ত্রী ও মৃত হাকিম আলীর, মেয়ে। তাদের সংসারে ৫ ছেলে মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামী মোহাম্মদ আলমের সাথে ছমুদা বেগমের কলহ চলে আসছিল। পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ করেছিল সমাজের গণমান্য ব্যক্তিবর্গ। তারপরেও তাদের সমাধান করা যায়নি। গত তিনদিন আগেও ছমুদা বেগমকে বেধড়ক মারধর করে স্বামী। এর জেরধরে আত্মহত্যা করেছে। অনেকেই ধারনা করছেন তাকে হত্যা করা হয়েছে।
লম্বাবিল দক্ষিণ সমাজ কমিটির সদস্য মোস্তাক আহমদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী ছমুদাকে নির্যাতন করে আসছে তার স্বামী মো. আলম। এ নিয়ে অনেকবার সালিশও করা হয়। কিন্তু নির্যাতন কমেনি। গত কয়েকদিন আগেও মারধর করেছে। তার এখনও ক্ষত রয়েছে। এর মধ্যে আত্মহত্যা নাকি হত্যা করেছে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নিহতের ভাই মো. ইয়াছিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার বোন ছমুদা বেগমকে নির্যাতন করে আসছে। আজকেরও ঘটনাও রহস্যজনক।
এ ব্যাপারে হোয়াইক্যং পুলিশের দায়িত্ব প্রাপ্ত এসআই রুকুনুজ্জামান জানান, সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে রিপোর্ট হাতে পেলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা জানা যাবে।