ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার অভিযোগ থেকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়মুক্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৮ সালের ২ অক্টোবর খাসোগিকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতে খাসোগির বাগ্দত্তা মামলা করেছিলেন।
মার্কিন গোয়েন্দারা বলছেন, সৌদি যুবরাজের আদেশেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে তারা মনে করেন। কিন্তু আদালতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোহাম্মদ বিন সালমান যেহেতু এখন সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী, তাই তিনি এ মামলা থেকে রেহাই পেতে পারেন।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের দীর্ঘস্থায়ী নীতি অনুযায়ীই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মামলার অভিযোগের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
এ খবর জানার পর খাসোগির বাগ্দত্তা হেতিজে চেঙ্গিস চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, জামাল খাসোগির আজ আরেকবার মৃত্যু হলো। আমরা ভেবেছিলাম, যুক্তরাষ্ট্রে হয়তো ন্যায়বিচার দেখব। কিন্তু আবারও টাকাই জিতল।
২০১৭ সালে প্রিন্স মোহাম্মদকে তার বাবা বাদশা সালমান যুবরাজ হিসেবে ঘোষণা করেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। এর আগে তিনি দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।