হ্যাপী করিম, মহেশখালী প্রতিনিধি:
মহেশখালী পৌরসভা এলাকার হাসপাতাল-কলেজ সড়কের পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের ব্যস্ততম আঞ্চলিক রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা ময়লার পাহাড় থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। ফেলে রাস্তার পাশে রাখা এই ময়লা পোড়ানো হয় প্রতিনিয়ত, পোড়ানো ময়লার ধোঁয়ার সঙ্গে পচা গন্ধের ফলে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ ও আশপাশের এলাকা। দূষণের শিকার হচ্ছেন এলাকার বাসিন্দাসহ রাস্তায় চলাচলকারীরা। নাক-মুখ চেপে চলাফেরা করতে হচ্ছে সবাইকে। পৌর কর্তৃপক্ষের দূষণের এই অত্যাচার থেকে মুক্তি চান এলাকাবাসী। প্রতিদিন পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় এখানে। এমনকি বর্জ্য ফেলার জন্য পরিবেশ বান্ধব কোনো পদ্ধতিও অনুসরণ করা হচ্ছে না। পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, দ্রুত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে।

১৯ ই নভেম্বর বিকালে সরজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। এ কারণে প্রথমে পৌর এলাকার জেটি সড়কের পান বাজার ফেলা হতো এই ময়লা। স্থানটি মহেশখালী উপজেলার প্রবেশমুখে অবস্থিত। দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়দের চাপে ও পর্যটক আগমের পাশে সড়কে বলে কর্তৃপক্ষ ওই জায়গা থেকে ময়লা ফেলার স্থান সরিয়ে নেয়। পরে পুরোনো ফেরিঘাট এলাকায় ময়লা ফেলে পৌর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ময়লা ফেলার পর ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা কর্তৃপক্ষকে চাপ দিতে থাকে। চাপের মুখে আবারও জায়গা পরিবর্তন করে তারা। পরে হাসপাতাল সড়ক এলাকায় পৌরসভা নির্ম্মাণাধীন ভবনের পাশে নিজস্ব জায়গায় ময়লা ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এলাকাবাসী জানান, পৌরসভার ফেলা ময়লা প্রতিদিন পোড়ানো হয়। এতে পোড়ানো ধোঁয়া ও ভাগাড়ের গন্ধ আশপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। ধোঁয়া ও পচা গন্ধে স্থানীয়দের অনেকেই শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দা শাকিব বলেন, আমরা চাই এখানে যাতে ময়লা না ফালায়, তাতে আমরা এলাকার লোক ভালো থাকি,বাচ্চাদের নিয়া হাটতে পারিনা তাদের শ্বাসকষ্ট হয়, বৃদ্ধ এবং বাচ্চাদের বেশী কষ্ট হয়। অনেক মহিলারা এখান দিয়ে যাওয়ার সময় বমি করে দেয়। ময়লার স্তুপের কারনে পাশের বাড়ীতে ধোঁয়া ও পচা গন্ধে গেছে, বলার মত কেউ নেই বললেই হুমকি দেয়।

স্থানীয়দের মতে, পৌরসভার ময়লা পৌরসভার দূরে ফেলা প্রয়োজন। গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এটা আইনগত ও মানবিক দিক দিয়েও ঠিক নয়। এর জন্য জনদুর্ভোগ হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনে আবার কথা বলবো পৌর মেয়রকে।

এ বিষয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী সৈয়দ মোস্তফা আলী বলেন, জমিটা পৌরসভার বলে ওখানে ময়লা ফেলে রাখায় পচা গন্ধ ও পোড়া ধোঁয়া গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চলাচলে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে এলাকার সাধারণ জনগণ জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাঁর দ্রুত সমস্যার সমাধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এদিকে মহেশখালী পৌর মেয়র মকসুদ মিয়া’কে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।