এম- বশির উল্লাহ, মহেশখালী:
আওয়ামী লীগকে অভিভাবক শূন্য করতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল, আর দেশ ও জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করতে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে খুনিদের পুরস্কৃত ও পুনর্বাসিত করেছিলেন জিয়াউর রহমান বলে মন্তব্য করেছেন মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক।
আজ বুধবার মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সাংসদ আশেক আরো বলেন, ‘খুনিদের রক্ষা করতে কে তাদের বিদেশে পাঠিয়েছিল, পুরস্কৃত করেছিল? খুনিদের পুরস্কৃত, পুনর্বাসন করেছিল জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার হবে না এই অধ্যাদেশের বৈধতা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। ১৫ই আগস্টের হত্যাকান্ড আর জাতীয় চার নেতাদের হত্যাকান্ডের নেপথ্যের মাস্টার মাইন্ড জিয়াউর রহমান। দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও পুনর্বাসিত করেছেন অভিযোগ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তির বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। এখন দেশের এক নম্বর শত্রু হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা। আর এই সাম্প্রদায়িকতার চারা জিয়াউর রহমান রোপণ করেছিল এবং স্বাধীনতার কফিনে শেষ পেরেক মারার জন্য জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ¦ আনোয়ার পাশা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আালোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন , জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এম আজিজুর রহমান, পৌর মেয়র আলহাজ¦ মকছুদ মিয়া , উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ফরিদুল আলম বিএ,মাষ্টার লিয়াকত আলী, ফোরকান বিএ, সাবেক চেয়ারম্যান সামসুল আলম, বড় মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজ মিয়া বাশি, আওয়ামীলীগ নেতা নাছির উদ্দিন, মাহবুব আলম।
অনুষ্টান পরিচালনায় ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাষ্টার রুহুল আমিন ও উপ দপ্তর সম্পাদক এহছানুল করিম। আলোচনা সভা শেষে জাতীয় চার নেতার জন্য বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলা র্ধম বিষয়ক সম্পাদক কুতুব উদ্দিন ইলাহী।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।