আগামী ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার আন্তর্জাতিক শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সমাবেশ থেকে একাডেমিক ভবন তিনটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ইতোমধ্যে ভবনের সজ্জাসহ আনুষাঙ্গিক সব ধরণের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু উদ্বোধনের পালা।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজার অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, চার তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের প্রত্যেকটিতে ৯টি করে ক্লাস রুম। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যাধুনিক ও দৃষ্টি নন্দন র্যাম্প, একটি করে অফিস রুম, লাইব্রেরি ও প্রেয়ার রুম রয়েছে। মেয়েদের জন্য ওয়েস্টবিট ও কমন রুমও রাখা হয়েছে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) শিক্ষার্থীদের জন্য হাই কমোডসহ প্রতি তলায় রয়েছে উন্নতমানের টয়লেট ও ওয়াশরুম।
পর্যাপ্ত আলো বাতাসে যেন শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারে, সে জন্য ভবনগুলো অধিক জানালা (লোভার) সিস্টেম শ্রেণিকক্ষ। ক্লাসে সেকেলের চক-ডাস্টার আর নাই। ব্যবহার হবে হোয়াইটবোর্ড ও মার্কার পেন। পর্যাপ্ত ফ্যান ও লাইটিং ব্যবস্থা ও সারাক্ষণ সোলার প্যানেল মজুত। রয়েছে বজ্র নিরোধক দণ্ড। দৃষ্টি নন্দন ও আবহাওয়া উপযোগি ‘স্লেটিং’ সিস্টেমে ভবনের ছাদ তৈরি করা হয়েছে। যে কারণে ছাদে বৃষ্টির পানি জমে থাকবে না। গাছের পাতা, ময়লা ইত্যাদি অটোমেটিক নীচে পড়ে যাবে। উপসহকারী প্রকৌশলী পুষ্পিতা ধর পূজা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী শ্রাবনী চক্রবর্ত্তী জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবনসমূহ আগের তুলনায় এখন অনেক উন্নত ও আধুনিক। পর্যাপ্ত লাইটিং, উন্নতমানের টয়লেট ও সুপরিসর ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীরা অনেক স্বাচ্ছন্দবোধ করবে। পাঠ্য বইয়ের বাইরে লাইব্রেরি সুবিধার কারণে ছাত্রছাত্রীরা জ্ঞানের জগতকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারবে।