সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র পরিবেশগত অবস্থা মূল্যায়ন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা পরিষদ হলরুমে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ ও গ্রীন কক্সবাজার স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন(বাপা) কক্সবাজারের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র সাধারণ সম্পাদক ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র সমন্বয়ক শরীফ জামিল। তিনি বলেন, “কক্সবাজারের পরিবেশ প্রকৃতি ধ্বংসের পথে। সমুদ্র সৈকত, পাহাড়—পর্বত, বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য ধ্বংস হতেই চলেছে। কক্সবাজারের পরিবেশ প্রকৃতি রক্ষায় সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। জাতীয়ভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমরা ৮টি উপজেলার পরিবেশ প্রকৃতির অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করবো। আপনারা কক্সবাজারকে রক্ষার আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। পরিবেশ ধ্বংস করে এমন অনেক প্রকল্প ইতিমধ্যে আপনাদের আন্দোলনের চাপে কাজ বন্ধ রয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সবসময় সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”
সভাপতির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, তিনি বলেন, “কক্সবাজারের উন্নয়নের নামে চলছে পরিবেশ ধ্বংসের মহা কর্মযজ্ঞ। পরিবেশ প্রকৃতি না বাঁচলে একসময় কক্সবাজার ধ্বংসের পথে চলে যাবে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সবসময় পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন চালিয়ে আসছে। আমাদের প্রাণ যতদিন থাকবে জন্মভূমি কক্সবাজারের পরিবেশ রক্ষায় লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। যত প্রভাবশালী হোক না কেনো পরিবেশ ধ্বংসের কর্মযজ্ঞ চললে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।”
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, কক্সবাজারের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে চলে গেছে। পানি সংকটে ও লবণাক্ততার কারণে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। বাঁকখালী নদী রক্ষার নামে সর্বদলীয় নেতারা দখল করে আছে। কক্সবাজারের গোলদীঘি পুকুর এখন গোসলের উপযোগী নেই। শতবছর আগে থেকে স্থানীয়রা এ পুকুরের পানি ব্যবহার করতো এবং গোসল করতো। অন্যদিকে,কক্সবাজার সৈকত থেকে সাগরলতা হারিয়ে যাচ্ছে। ইসিএ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঝাউবাগান দখল ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে পরিবেশের ধ্বংসযজ্ঞ চলমান রয়েছে।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, এদেশ আমাদের। রক্ষার দায়িত্বও আমাদের সকলের। দখলদার ও পরিবেশ ধ্বংসকারীরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেনো বাপা’র পক্ষ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
এসময় কক্সবাজারের প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগ সহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার অনুরোধ জানান বক্তারা।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাপা কক্সবাজারের সহ সভাপতি ফরিদুল আলম শাহীন, সহ সভাপতি সাংবাদিক এইচ এম এরশাদ, সহ সভাপতি জাফর দিদার, সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কানন পাল, সহ সভাপতি নিজাম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম নজরুল ইসলাম ও প্রচার সম্পাদক এম.এ আজিজ রাসেল।
বাপা কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক করিম উল্লাহ কলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলার সদস্য মোহাম্মদ হোছন, এম, পারভেজ, সায়েম, কক্সবাজার সদর উপজেলা বাপা’র সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক শেখ সেলিম, সহ—সভাপতি মোহাম্মদ হাশেম, হায়দার নেজাম, শহর বাপা’র সভাপতি কফিল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ইরফান উল হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেক হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক উছেন থোয়েন, মা টিন টিন, ফাতেমা আক্তার, সেলিনা পায়েল, রুজিনা, দিন মজুর ঐক্য পরিষদের সভাপতি ছৈয়দ আলমসহ কক্সবাজারের ৮টি উপজেলা ও শহর বাপাসহ স্বেচ্ছাসেবী ও পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।