কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোনাফ সিকদারকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জনাব মুজিবুর রহমানকে হুকুমের আসামি করার ঘটনায় (উস্কানিদাতা হিসেবে) আমাকে দায়ী করে তিনি গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অসত্য, অশোভনীয়, দুরভিসন্ধিমূলক এবং অত্যন্ত দুঃখজনক।

আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের কর্মী, ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাসী না। এই ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতি করার মতো সময়ও আমার নেই। আমি আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন এবং দলকে সুসংগঠিত করার কাজে ব্যস্ত রয়েছি।

আমার নির্বাচনী এলাকা চকরিয়া-পেকুয়ায় দীর্ঘ ৪৩ বছর আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ ছিল না। ফলে উপযুক্ত জনপ্রতিনিধির অভাবে আমার নির্বাচনী এলাকা দীর্ঘকাল যাবত যথাযথ উন্নয়ন হতে বঞ্চিত হয়েছে। তৃণমূলের একজন কর্মী হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এই এলাকার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দেওয়া গুরুদায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিব ভাইয়ের সাথে আমার কোন ব্যক্তিগত বিরোধ নেই, থাকার কথাও না। কারণ কক্সবাজার পৌরসভা বা সদর-রামু আসনে আমার ভোট করার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া উনার সাথে কোন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো নূন্যতম আগ্রহও আমার অবশিষ্ট নেই। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার প্রশ্নই আসে না।

কিছুদিন আগে জেলা আওয়ামী লীগের অগঠনতান্ত্রিক একটি সিদ্ধান্তের প্রেেিত যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল তা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অত্যন্ত বিচণ, চৌকস ও গঠনতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের ফলে সুন্দর পরিসমাপ্তি ঘটেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে লিপ্ত ছিল এবং বর্তমানেও রয়েছে।

আমার দৃঢ বিশ্বাস তিনি কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে এমন ডাহা মিথ্যা, মনগড়া বক্তব্য দিয়েছেন। কারণ একজন সাংসদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের একজন সহ-সভাপতির প্ররোচনায় তিনি ইতিপূর্বেও বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো বক্তব্য দিয়েছিলেন। তাঁর এই ‘সান্ধ্যকালীন বন্ধুগণ’ আমার সাথে তাঁকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার অপ্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

দুর্বৃত্তরা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোনাফ সিকদারকে কী বলে গুলি করেছে স্বয়ং মোনাফ সিকদার মৃত্যুশয্যা হতে ডায়িং ডিকারেশনের মতো করে তা বলেছেন- যা ফেসবুক মারফত জেলাবাসী দেখেছে, জেনেছে। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে। গোয়েন্দা সূত্রে সত্য ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোনাফ সিকদারকে হত্যা চেষ্টা মামলার উস্কানিদাতা হিসেবে আমাকে জড়িয়ে মুজিব ভাইয়ের বক্তব্যে আমি বিস্মিত ও হতবাক হয়েছি। এই ধরনের বক্তব্য উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর শামিল। এই কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে, ভুল-ভ্রান্তি শুধরে ঐক্যবদ্ধভাবে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন।

এই ধরনের অসত্য বক্তব্য কারো জন্য হিতকর নয় বরং মানহানিকর। পরবর্তীতে এমন ডাহা মিথ্যা, মানহানিকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার।

আলহাজ জাফর আলম
সংসদ সদস্য, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া)
সভাপতি- চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।