নিজস্ব প্রতিবেদক:
জননেত্রী শেখহাসিনার স্মৃতি বিজড়িত বাঁকখালী নদীর তীর ঘেঁষা কক্সবাজার সদর ইউনিয়নের ঝিলংজায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী টিপু সুলতান তথা নৌকা মার্কার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সকাল থেকে ঝিলংজার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন। প্রচারণাকালে আবাল বৃদ্ধ বনিতার ঢল নেমে আসে।
প্রচারণার অংশ হিসেবে ঝিলংজার বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলি-গলিতে বিরাট মিছিল নিয়ে শোডাউন করে বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গণসংযোগে করেন। এ সময় তিনি বাজার, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্টসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে প্রতিশ্রুতি দিয়ে পুনরায় তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন। এ সময় শত শত নেতাকর্মীর বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।
এ সময় তিনি বলেন, ঝিলংজাবাসীর মার্কা নৌকা, উন্নয়নের মার্কা নৌকা। জনতার একাগ্রতা-উচ্ছাস এরিই প্রমান বহন করে। ইনশাল্লাহ ঝিলংজার জনতার বিজয় সুনিশ্চিত। তিনি আরো বলেন, আমার কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। এলাকার উন্নয়ন এবং মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই একমাত্র লক্ষ্য।
তিনি নিজের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বলে জানান। এ সময় তিনি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান। শনিবার সকাল থেকে বিকেল অবধি ঝিলংজার বিভিন্ন ওয়ার্ডে তিনি গণসংযোগ করেন।
এদিকে গত শুক্রবার লিংকরোডের মুহুরী পাড়া ও বিসিক এলাকাসহ কয়েকটি স্থানে গণসংযোগ করেন। এসময় কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানসহ কয়েকশ নেতা কর্মীর পাশাপাশির হাজার হাজার ভোটার তার গণসংযোগে যোগ দেন। গণসংযোগ শেষে সন্ধ্যার পর লিংকলোড ষ্টেশনে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে চেয়ারম্যান টিপু সুলতান বলেন, ঝিলংজায় ৮০ শতাংশ উন্নয়ন ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। বাকী ২০ শতাংশ এলাকার কাঙ্খিত উন্নয়ন নিশ্চিতের পাশাপাশি এলাকার বেকার যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আমার সাথে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের মধ্যে একজন চিহ্নিত ভূমিদস্যু। সাধারণ মানুষের জমি দখল করাই তার নেশা। বাকী আরেক প্রার্থী তার আত্মীয়ের টাকা আত্মসাৎ করার বিচার বর্তমানে আমার পরিষদে আছে।
টিপু সুলতান আরো বলেন, গত ১০ টি বছর জনগনের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। করোনা দূর্যোগকালীন সময়ে প্রতিটি এলাকায় কর্মহীন ও অসহায়দের মাঝে তার অব্যাহত ত্রান সহযোগীতা দিয়ে গেছেন। তিনি এলাকার উন্নয়নকে অধিকতর তরান্বিত করতে প্রতিটি ওয়ার্ডের নানা সমস্যা চিহ্নিত করে নিঃশর্তভাবে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাচ্ছেন।
এলাকায় রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, মসজিদ-মাদ্রাসায় সহযোগীতাসহ অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফলে এলাকার মানুষ তাকে মূল্যায়ন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন এবং আগামী ঝিলংজার ইউপি নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন বলেও মনে প্রানে বিশ্বাস করেন।