নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার বিমানবন্দরের দায়িক্বরত ৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য উপপরিদর্শক (এসআই) তাজের বিরুদ্ধে যাত্রীদের নানা ভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বিমানবন্দরে পর্যটকের লাগেজ বা মালামাল বেশি থাকলে কৌশলে টাকা দাবি করেন তিনি। না দিলে তল্লাশির নামে হয়রানি শুরু করেন। যা নিয়ে বিব্রত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও। এ নিয়ে গেল রোববার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তারপর থেকে নড়েচড়ে বসে ৮ এপিবিএনের কর্মকর্তারা। বিষয়টি তদন্তের জন্য পুলিশ সুপার ফজলে রাব্বিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর।
তিনি জানান- ঘটনাগুলো জানার পর আমি একজন পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। তারপর অভিযুক্ত এসআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টা আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। পুলিশ ও বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরে এক পুলিশ সদস্যের ব্যাগে পাওয়া ৫ লাখ টাকাকে ৫০ হাজার টাকা বলে সাদা কাগজে লিখে বাকি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে এসআই তাজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিভাগীয় ব্যবস্থার জন্য সুপারিশ করেছে জেলা পুলিশ। কিন্তু এসআই তাজের বিরুদ্ধে কোনো বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যার ফলে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন তাজ। গত রোববারও পর্যটকদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে এসআই তাজের বিরুদ্ধে। কক্সবাজার বিমানবন্দর দিয়ে পর্যটকদের অতিরিক্ত লাগেজ বা মালামাল বেশি থাকলে কৌশলে টাকা দাবি করে তাজ। না দিলে তল্লাশির নামে হয়রানি শুরু করে। যা নিত্যদিনের ঘটনা। যা নিয়ে বিব্রত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ আছে- শুধু পর্যটক নয়, স্থানীয় বাসিন্দা, রাজনৈতিক নেতারাও তাজের হয়রানির শিকার। কোনো প্রতিকার চেয়েও সমাধান আসছে না। কয়েকদফা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও কোন সুরাহা আসেনি। এরআগে এসব ঘটনায় মুচলেখা দিয়েছিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।