আব্দুস সালাম,টেকনাফ:
টেকনাফের সদরের বরইতলী সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে আদমের ঘাট করে যাচ্ছে একটি দালাল চক্র। কয়েকজন দালালের হাত ধরে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বরইতলী,পৌরসভার উত্তর নাইট্যং পাড়া,আরিয়ান ফিশারী পয়েন্ট ও হেচ্ছার খালসহ রোহিঙ্গা পারাপারের ৪টি অবৈধ ঘাটের সংশ্লিষ্ট দালালের হাত ধরে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে।
সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বরইতলী এলাকার পুরাতন রোহিঙ্গা দিল মোহাম্মদের ছেলে ইউনুছ(২৮), ইলিয়াছ(২৪) ও পুতিক্ক্যাসহ ৮/১০ জনের নেতৃত্বে
দালাল চক্রের সদস্যরা রোহিঙ্গা পারাপারের ঘাট দিয়ে প্রতিরাতে শত শত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ শিশুদের সেদেশের দালাল চক্রের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এদেশ থেকে মিয়ানমার এবং মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোহিঙ্গাদের এদেশে নিয়ে এসে দালাল চক্র তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের নগদ টাকা, মোবাইল সেট, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিয়ে
বিভিন্ন ক্যাম্পের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। শুধু তা নয় রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসার পথে দালালরা ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য ও নিয়ে আসছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।
আদম ঘাট দিয়ে রোহিঙ্গারা যত্রতত্র ঢুকে দালালদের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। মাহিন্দ্রা চালক দালাল ইউনুছ দিনের বেলায় রোহিঙ্গাদের বহন করে সুযোগ বুঝে ক্যাম্পে পৌছিয়ে দেয়।
মিয়ানমারের বিভিন্ন ঘাট থেকে এসব দালালরা নৌকায় করে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসছে।
ছদ্মবেশে প্রশাসনের লোকজনের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে তাদের গতিবিধি দালালদের সরবরাহ করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ফলে বরইতলী এলাকার দালালরা আইন শৃংখলা বাহিনীর ধরা ছোঁয়ার বাইরে নিরাপদে রোহিঙ্গা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এভাবে অল্প কয়েকদিনে এরা লাখ লাখ টাকা অবৈধ আয় করেছে বলে জানা গেছে।
এসব কাজে জড়িত লোকজনের বিরুদ্ধে খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে সীমান্ত এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রোহিঙ্গা বিস্ফোরণে ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে সচেতন মহল দাবী করছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইলিয়াছের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,এসব অবৈধ ঘাট বানিজ্যের সাথে লিপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে সেদেশের সেনাবাহিনী কর্তৃক মুসলিমদের নির্যাতন, নিপীড়িন, জুলুম-হত্যা, ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সাল থেকে বর্ডার ইমিগ্রেশনের আওতাধীন ৭দিন ও একদিনের পাস বন্ধ হওয়ার কারণে আদম পারাপার বৃদ্ধি পেয়েছে।