এম.কলিম উল্লাহ:
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় ঘোষিত দেশব্যাপী থানায় থানায় বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির আলোকে কক্সবাজারের প্রতিটি উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার আওতাধীন সকল উপজেলায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং পাঠ্যপুস্তক হতে ধর্ম ও জাতিসত্ত্বা বিরোধী বিতর্কীত বিষয়সমূহ বাতিল ও শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবীতে জেলা ব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা বলেন, সরকার ২০২৩-এর মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে জনগণের বোধ-বিশ্বাস, সংস্কৃৃতি ও জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে সাম্প্রদায়িক উস্কানি, তথ্য ও ইতিহাস বিকৃতি সহ বিতর্কিত ও অবৈজ্ঞানিক মানব সৃষ্টিতত্ত্বের অনুপ্রবেশ, ট্রান্সজেন্ডার টার্ম, পৌত্তলিক ও ব্রাহ্মণ্যবাদী সংস্কৃতির আধিপত্য, প্লেজারিজম এবং ধর্ম ও জাতিসত্তা বিরোধী বিষয়বস্তু সংযোজন করে দেশকে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে চায়।
শুধু ৬ষ্ট ও ৭ম শ্রেণির কেবল দু’টি বই বাতিল করলে হবে না। পাঠ্যপুস্তকের সকল অসঙ্গতি দূর করে নতুন করে সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে এবং শিক্ষার সকলস্তরে ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
স্বাধীনতার ৫২ বছরে যারা রাজনীতি করেছে তারা গণমানুষের অধিকার ও ঐক্য-সংহতি প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করেনি। একারণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গণমানুষের অধিকার আদায়ে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা মনে করি, দেশের চলমান অস্থিরতা নিরসনের একমাত্র পথ হলো ইসলামকে বিজয়ী করা।
জনগণের দুঃখ-দুর্দশার কথা তুলে ধরে বলেন, দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কষাঘাতে জনজীবন জর্জরিত। মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। বারবার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে সরকার জনগণকে শোষণ করছে। জনগণের প্রতি সরকারের কোন প্রকার দায়বদ্ধতা আছে বলে মনে হয় না। সরকারদলীয় লোকজন বাজার সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকার কারণে সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হচ্ছে আর এর খেসারত দিচ্ছে জনগণ। জনগণকে শোষণ করে সরকারের লোকজন নিজেদের আখের গুচাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকারকে কঠোর হস্তে বাজার নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান বিভিন্ন উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিলোত্তর সমাবেশে বক্তারা।
উখিয়া উপজেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা কলিমুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার জেলা শাখার সেক্রেটারী মাওঃ এ আর এম ফরিদুল আলম, ইন্জিনিয়ার মোরশেদ আলম, উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা জাহাঙ্গী রফিক, শ্রমিক আন্দোলন উপজেলা সভাপতি মোঃ আলী আকবর, যুব আন্দোলনের উপজেলা সভাপতি মোঃ সাইফুল্লাহ সিকদার, সাবেক ছাত্রনেতা জামাল উদ্দিন।
চকরিয়া উপজেলায় পুলিশি বাধায় বিক্ষোভ মিছিল পন্ড হয়ে যায়। এতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আইন বিষয়ক সম্পাদক মুফতী নূর উল্লাহ সিকদার, চকরিয়া উত্তর সভাপতি মাওলানা মোঃ জুনায়েদ, সেক্রেটারি মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, চকরিয়া দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা জামাল উদ্দিন তাওহীদ, সেক্রেটারি মাওলানা মনসুরুল হক, চকরিয়া পশ্চিম মাতামুহুরী সেক্রেটারি মাওলানা এহসানুল হক।
মহেশখালী উপজেলার উত্তর থানা শাখায় মাওলানা ইয়াহিয়া সাঈদ এর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা শফিউল আলম, মহেশখালী দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা হেলাল উদ্দিন, সেক্রেটারি মাওলানা বেলাল উদ্দিন।
কুতুবদিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মোঃ ইদ্রিস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, সেক্রেটারি মাওলানা আনিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্কাস আলী, জেলা যুব আন্দোলনের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক কলিম তারুণ্যে, জেলা যুব আন্দোলনের সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক কামাল হোসেন ও যুবনেতা রবিউল হোসেন।
ঈদগাঁও উপজেলায় সভাপতি মাওলানা শামসুল আলমের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত মিছিলে উপস্থিত ছিলেন হাফেজ মাওলানা হুসাইন সাংগঠনিক সম্পাদক কক্সবাজার জেলা শাখা, উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ ইসমাইল।
রামু উপজেলা সভাপতি মাওলানা আসাদুল্লাহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাখার প্রশিক্ষণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, রামু দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা আবু নাসের, সেক্রেটারি মাওলানা তাজুল ইসলাম, আবছার কামাল আহমদী।
টেকনাফ উপজেলায় মাওলানা তৈয়ব আরমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক রাশেদ আনোয়ার জয়েন্ট সেক্রেটারি কক্সবাজার জেলা শাখা। মাওঃ আহমদ হোসাইন, মাওঃ আব্দুল্লাহ।
কক্সবাজার পৌরসভার সভাপতি মাওলানা জাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা শুয়াইব সহ-সভাপতি কক্সবাজার জেলা শাখা, কক্সবাজার সদর উপজেলা সভাপতি মাওঃ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, পৌরসভা সেক্রেটারী মাওলানা রহিম উল্লাহ। ইসলামী যুব আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক, মাওলানা আবদুল হামিদ, মাওলানা জমির উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব কবির, মাওলানা আবদুল্লাহ সাহেব হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ বোরহান সাহেব হাফেজ আইয়াস সাহেব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।