বিশেষ সংবাদদাতা:
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী (মধ্যমপাড়া) গ্রামে সংঘবদ্ধ অপরাধী লোকজন কতৃক এক নারীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করা হয়েছে। আহত ভুক্তভোগী (ভিকটিম) ঐ নারী (২৬) বর্তমানে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনাটি ২৪ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ১০ টায় ভুক্তভোগী (ভিকটিম) ঐ নারীর ও অভিযুক্তদের উভয়পক্ষের বসতভিটের সামনে চলাচলের রাস্তায় ঘটে।
জানা যায়, ভুক্তভোগী (ভিকটিম) ঐ নারীর প্রতিবেশী একই (মনখালীর মধ্যমপাড়া) এলাকার ফোরকান আহমদের পুত্র মোঃ ইউনুছ (২৮) দীর্ঘ দিন ধরে নানা ভাবে যৌন উত্ত্যক্ত সহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন ২৪ ফেব্রুয়ারী সকালে ঘটনাস্থলে ভুক্তভোগী (ভিকটিম) ঐ নারীকে একা পেয়ে মূল অভিযুক্ত মোঃ ইউনুছ (২৮) একই গ্রামের মৃত সুলতান আহমদের পুত্র শফি উল্লাহ (২৯), মোঃ শহীদুল্লাহ (৩১) ও ফোরকান আহমদের পুত্র মোঃ আয়াছ (১৯)- এর সহযোগীতায় জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী (ভিকটিম) ঐ নারী জানান, 'মুল অভিযুক্ত মোঃ ইউনুছ দীর্ঘ ধরে আমাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। আমাকে আমাকে একা পেয়ে সংঘবদ্ধভাবে ৪ জনে মিলে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করলে আমি জোরাজুরি ও শোর-চিৎকার করার কারণে আমাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আমি নারী লোভী অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই'। অন্য দিকে অভিযুক্ত মোঃ ইউনুছ ধর্ষণের চেষ্টার কথা অস্বীকার করে ভুক্তভোগী (ভিকটিম) নারীকে আঘাত করার কথা স্বীকার করে বলেছেন, 'ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় ভাবে আপোষ-মীমাংশার কথা চলছে'। ভুক্তভোগী (ভিকটিম) নারীর স্বজনরা ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান। অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন জানান, 'ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা সম্পর্কে আমার জানা নেই, তবে মারামারির একটা ঘটনা ঘটেছে, তা আপোষের কথা চলছে'।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, এখনো এমন কেউ কোন অভিযোগ করেননি, ভুক্তভোগী (ভিকটিম) ঐ নারীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে'।