সোয়েব সাঈদ, রামু:
রামুতে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে জাতীয় বীমা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত বর্ণাঢ্য র্যালীতে নেতৃত্ব দেন- রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা। ১ মার্চ, বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বের করা র্যালীটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এবার দিবসের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘ আমার জীবন আমার সম্পদ, বীমা করলে থাকবে নিরাপদ’।
র্যালী শেষে রামু উপজেলা আয়োজিত বীমা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা বলেন- বীমা শিল্প দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন-অগ্রগতিতে বড় ধরনের অবদান রাখছে। একারণে সরকার বীমা খাতকে সম্মৃদ্ধ করতে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন- ১৯৬০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালিন ১ মার্চ বীমা কোম্পানীতে যোগদানকৃত করেন। কর্মজীবনের এ স্মৃতি বিজড়িত দিনকে স্মরণ রাখতে ৪ বছর পূর্বে সরকার ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করে। গুরুত্ব বিবেচনায় সরকার বীমা দিবসকে খ থেকে ক শ্রেণিতে উন্নীত করেছে।
প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর রামু সার্ভিসিং সেলের ইনচার্জ আবুল কাশেম সাগর এর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- রামু থানার ওসি (তদন্ত) অরূপ কুমার চোধুরী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নুরে আলম মজুমদার, রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক ও রামু প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীমা কোম্পানীতে চাকুরী করেছেন এটা আমাদের জন্য গর্বের। বীমা এখন আগের মত নেই। এটি এখন অনেক দূর এগিয়ে গেছে। উন্নত বিশ্বে বীমা ছাড়া কিছু হয়না। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় বীমা খাত ভূমিকা রাখবে।
র্যালী ও আলোচনা সভায় বিভিন্ন বীমা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শতাধিক কর্মকর্তা, মাঠকর্মী, গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ী উপস্থিত ছিলেন।