শেফাইল উদ্দিন:
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের বোয়ালখালী এলাকার রেমিট্যান্স যোদ্ধার নির্মাণাধীন ভবনে হামলা- ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।মোটা অংকের চাঁদা দাবী করছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনী।
এ রেমিট্যান্স যোদ্ধা সন্ত্রাসী বাহিনীর অব্যাহত হুমকিতে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন যাপন করছে। ভুক্তভোগী নিরুপায় হয়ে আদালতের মামলা দায়ের করেছে।
জানা যায়, উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের বোয়ালখালী এলাকার মৃত নজির আহমেদের ছেলে সৌদি প্রবাসী ছৈয়দ আলমের স্ত্রী তাহেরা আকতার প্রায় ৩ মাস আগে একটি বাড়ী নির্মানের প্রস্তুতি নেয়। এ খবর পেয়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে কৌশল পাল্টিয়ে চাঁদাবাজ চক্র জায়গা পাবে বলে স্থানীয় আবদুর রহমানকে বাদী করে আদালতে একটি সাজানো মামলা দায়ের করে। আদালত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে মামলা খারিজ করে দেন। এরপর আবার এ রেমিট্যান্স যোদ্ধা পরিবার ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করলে গত ৯ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা নির্মাণাধীন ভবনে হামলা ও ভাংচুর চালায় এ সময় রেমিট্যান্স যোদ্ধার স্ত্রী তাহেরা আকতার এগিয়ে আসলে তাকে উপুর্যুপরি হামলা করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। এ সময় হামলাকারীরা নির্মাধীন সামগ্রীসহ তাদের ঘরে থাকা মুল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ রেমিট্যান্স যোদ্ধার মাথা গোঁজার টিনের ছোট্ট ঘরটিতে লুটপাট চালিয়ে টিনের দরজা -জানালা ও কেটে ফেলেছে। খবর পেয়ে ঈদগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হামলা ও লুটপাটকারীরা পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় ঈদগাঁও থানায় অভিযোগ ও আদালতে মামলা করা হয়েছে।
রেমিট্যান্স যোদ্ধার স্ত্রী তাহেরা আকতার জানান, ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করলে এ চক্রটি মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে এরা হামলা ভাংচুর-ও লুটপাট করে ক্ষান্ত হয়নি বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে করে আসছে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এতে আমি আমার পরিবারের পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অভিযোগ উঠা আব্দুর রহমান গংয়ের সাথে কথা হলে জমি নিয়ে বিরোধে আছে বলে জানান।
এ ব্যাপারে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কবিরের সাথে কথা হলে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মহি উদ্দিন জানান, মেডিকেল রিপোর্টের জন্য সদর হাসপাতালে আবেদন করা হয়েছে। তদন্ত পুর্বক মামলার রিপোর্ট দেয়া হবে।
এলাকার লোকজন জানান, হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ,এরা সব সময় চাঁদাবাজি, জায়গা দখল, মারামারি সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড সংগঠিত করে থাকে। এদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাঁদাবাজি,খুনসহ বিভিন্ন মামলা , অভিযোগ রয়েছে। সচেতন মহল এদেরকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান।