ডেস্ক নিউজ:
‘সামাজিক, কারিগরি, অবকাঠামোগত, তথ্য প্রযুক্তি ও একবিংশ শতাব্দির নাগরিকদের চাহিদা মেটানোর ক্ষমতা সম্পন্ন একটি দক্ষ ও উদদ্যোমী জনবল গঠনে চ্যালেঞ্জের সম্মুখিন হচ্ছে বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মধারা এবং তার থেকে পর্যটকদের আকাঙ্ক্ষার মধ্যে সমন্বয় করা একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ। পর্যটকদের উপলব্দি ও ট্যুরিস্ট বাহিনরি কর্মপরিধির সংযোগ সাধণ পর্যটন এলাকার নিরাপত্তা ও সামগ্রিক পরিবেশ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে ট্যুরিস্ট পুলিশের ভূমিকা, অর্জন এবং চ্যালেঞ্জ সমূহ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
বক্তারা বলেন, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর একটি বিশেষায়িত ইউনিট হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর থেকে তার কার্যক্রম শুরু করে। এ ধরনের বিশেষায়িত পুলিশি সেবা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জন্য নতুন হলেও গত সাত বছর ধরে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে তুলনামূলকভাবে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তার পরিবেশ তৈরি করতে সফল হয়েছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ হান্নান মিয়া বলেন, পর্যটন খাতে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে সরকার। এ খাতের সামগ্রিক উন্নয়নে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের আরও বেশি এগিয়ে আসতে হবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মোর্শেদুল আনোয়ার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক ডীন প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সন্তোষ কুমার দেব, কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার, ভ্রমন ম্যাগাজিনের সম্পাদক আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর মোঃ মাসুদুর রহমান।