প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজারের রামুতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মামলাবাজ পেশকার শাহেদুর রহমান কর্তৃক সাংবাদিক, প্রধান শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে জড়িয়ে দ্রæত বিচার আইনে হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার, ১৫ মার্চ সকাল ১০ টায় কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে কক্সবাজার-রামুর কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ, বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার কল্যাণ এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রামু উপজেলা শাখা।
মানববন্ধন চলাকালে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন- শিক্ষক জসিম উদ্দিন গং এর সাথে তারই খালাতো ভাই শাহেদুর রহমান গং এর মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ থাকলেও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অথচ পেশকার শাহেদুর রহমান আইনের অপব্যবহার করে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর সাধারণ সম্পাদক ও রামু প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি এসএম জাফর, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য মো. ইউনুচ ও আজিজুল হক আজিজ, রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক, রামুর মন্ডলপাড়া গ্রামের সর্দার নুর আহমদ, রামু সরকারি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সাবিত বিন সাইফুল্লাহ সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গত ৬ মার্চ কক্সবাজার সদর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি সাজানো, মানহানিকর, মিথ্যা, হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন। যার নং সিআর-২৬৯/২০২৩। এধরনের মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় সাংবাদিক সমাজ, জনপ্রতিনিধিরা বাকরুদ্ধ এবং মর্মাহত হয়েছেন। কারণ মামলা রুজু হওয়ার মতো কোন অপ্রীতিকর কোন ঘটনার সাথে মামলায় অভিযুক্তরা বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ত নয়। বরং এ মামলার বাদি চিহ্নিত ভ‚মিদস্যু শাহেদুর রহমান নিজেই রোহিঙ্গা সহ ভাড়াটে লোকজন এনে জমি জবর-দখলের চেষ্টা চালিয়েছেন।
কক্সবাজার সদর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দ্রæত বিচার আইনে দায়েরকৃত মামলাটি পুরো ভিত্তিহীন। কারণ বিরোধের জের ধরে কোন সহিংস ঘটনা ঘটেনি। কোন অস্ত্র বা লাটি প্রদর্শিত হয়নি। হয়নি কোন বাকবিতন্ডা বা মারধরের শব্দও। এমনকি এ ঘটনার কোন স্বাক্ষী, ভিডিও ফুটেজও কেউ দেখাতে পারবেনা। বিরোধ নিষ্পত্তিতে ভ‚মিকা পালনকারি ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের ২ জন সদস্যকে এবং ওই বৈঠকে ছিলেন না এমন দুজন ব্যক্তিকেও মামলায় আসামী করা হয়েছে। তাই এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বানোয়াট এ মামলাটি দ্রæত প্রত্যাহার করা জরুরী হয়ে পড়েছে। মামলাটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করা না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি পালনের ঘোষনা দেয়া হবে।
সমাবেশে কক্সবাজার ও রামুর কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ প্রতিদেক শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক রুহুল কাদের বাবুল, দৈনিক সৈকতের বার্তা সম্পাদক আনছার হোসেন, দৈনিক সাঙ্গুর জেলা প্রতিনিধি ইমাম খাইর প্রমূখ। এসময় রামু প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আল মাহমুদ ভ‚ট্টো, দপ্তর সম্পাদক হাসান তারেক মুকিম, সহ দপ্তর সম্পাদক শওকত ইসলাম, নির্বাহী সদস্য জহির উদ্দিন খন্দকার, সদস্য এমএইচ আরমান, নুরুল হক সিকদার, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও কক্সবাজার-রামুর কর্মরত অর্ধ শতাধিক সাংবাদিক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন।
বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার কল্যাণ এসোসিয়েশনের ব্যানারে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার কল্যাণ এসোসিয়েশন কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি ছৈয়দ নুর, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ বিদ্যুৎ, পারভীন আকতার, বিপুল বড়–য়া আব্বু, মাশেকুর রহমান। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত শতাধিক ইউপি সদস্য মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন। সমাবেশে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষে সাংবাদিক সুজন চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।