মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
কক্সবাজার জেলা খেলাঘরের সভাপতি আবুল কাসেম বাবু আর নেই। বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ রাত ১১ টার দিকে কক্সবাজার শহরের ডিজিটাল হাসপাতালের পেছনে নিজ বাসভবনের ৪র্থ তলা থেকে দরজা ভেঙ্গে পুলিশ আবুল কাসেম বাবুর মরদেহ উদ্ধার করে।
মরহুম আবুল কাসেম বাবু’র ভগ্নিপতি কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এ তথ্য জানিয়েছেন।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আরো জানান, গত ১৪ মার্চ মরহুম আবুল কাসেম বাবু’র স্ত্রী, সন্তান উখিয়ায় তার নিকটাত্মীয়ের বিয়েতে গিয়েছিলেন। আবুল কাসেম বাবু বাসায় একা ছিলেন। ১৫ মার্চ থেকে আবুল কাসেম বাবু তার মোবাইল ফোন রিসিভ করছিলেন না। বাসার রুমের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করা ছিল। এ অবস্থায় সবার সন্দেহ হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশকে জানানো হয়। রাত ১১ টার দিকে পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে আবুল কাসেম বাবু’র কক্ষে ঢুকলে সেখানে আবুল কাসেম বাবু’র মৃত দেহ পাওয়া যায়। তখন আবুল কাসেম বাবু’র উদ্ধারকৃত মৃতদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল বলে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানিয়েছেন। পরে পুলিশ আবুল কাসেম বাবু’র মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।
আবুল কাসেম বাবু হাসপাতাল সড়কের মাবুদ কমপ্লেক্সের মালিক। মরহুম আবুল কাসেম বাবু কক্সবাজার শহরের ডিজিটাল হাসপাতালের পরিচালক ছিলেন। পর পর ২ মেয়াদের কক্সবাজার জেলা খেলা ঘরের সভাপতি ছিলেন। তিনি কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৫ সালে এসএসসি পাস করেন।
তিনি মরহুম আবদুল মাবুদ ও মোসলেমা খাতুনের পুত্র। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান। বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী আবুল কাসেম বাবু’র মৃত্যূর খবরে কক্সবাজার শহরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানাজা :
শুক্রবার ১৭ মার্চ সকাল ১০ টায় কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আবুল কাসেম বাবু’র নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানিয়েছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।