প্রতিনিধি:
উখিয়ার কুতুপালং বাজারের রুবেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মুহাম্মদ রুবেল ও তার ছোট ভাই ঈসমাইল দীর্ঘদিন ধরে বৈধ ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে।
নানা সূত্রে জানা গেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রোহিঙ্গাদের সাথে আঁতাত করে মিয়ানমারের বিভিন্ন পণ্য অবৈধভাবে বাংলাদেশে এনে কালোবাজারি থেকে শুরু করে মিয়ানমার কেন্দ্রিক চোরাই পণ্যের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, চোরাচালান পণ্য ও নিষিদ্ধ সিগারেট মজুদ করে পেশাদার চোরাকারবারীর মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতো এবং মুদির দোকানের মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি, অবৈধ পণ্য পাচার, বেচা-বিক্রি, সহ বহুমুখী অপকর্মের পাশাপাশি চোরাই ব্যবসা চালিয়ে আসছেন।
ইতিপূর্বে তাদের দোকানে জাল স্ট্যাম্প পাওয়ার কারণে ঈসমাইলকে এক মাসের সাজা প্রদান করেছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু তাতে থেমে থাকেনি তাদের কর্মযজ্ঞ।
অভিযোগে জানা যায়, কুতুপালং বাজারে রুবেল স্টোরে ভেজাল পণ্য, দুই নাম্বার চিনি, খেজুর, বিভিন্ন মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ট্যাংক জুস,মিয়ানমারের সিগারেট ও নুডলস বিক্রি করে আসছে এবং এ খবর জানাজানি হলে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ এপ্রিল (রোববার) কুতুপালং বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন উখিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমদ।
এসময় তিনি অভিযানে গেলে তার দোকানে ভেজাল পণ্য বিক্রির প্রমাণ পেয়ে জরিমানা করেন এবং ভবিষ্যতে অবৈধ কারবার থেকে দূরে থাকতে সতর্ক করেন। পরবর্তীতে রুবেল তার অপরাধ স্বীকার করে সাক্ষরও করেন।
কিন্তু উখিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) চলে যাওয়ার পর থেকে আবারও একি পণ্য বিক্রি করতে শুরু করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) সরকারি অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিভিন্ন ধরণের লেখালেখি শুরু করে।
ফেসবুক নিউজফিড ঘুরে তাদের স্ট্যাটাসে দেখা যায়, ঈসমাইল হোসাইন তার আইডিতে লিখেছেন, " কুতুপালং বাজারে নতুন ম্যাজিস্ট্রেট দেখলাম, আরেক স্ট্যাটাসে তার ভাই রুবেল লিখেন দোকানে কিছু পাওয়া যায়নি এরপরেও জরিমানা"।
এ ব্যাপারে উখিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমেদ বলেন, সরকারি নিয়মানুযায়ী কুতুপালং বাজারে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে জরিমানা করে তাদের সতর্ক করা হয়েছে এবং যাদের জরিমানা করা হয়েছে তারা অপরাধ স্বীকার করে সাক্ষর করেছেন। যদি ভবিষ্যতেও এইসব অবৈধ কর্মকাণ্ড করে থাকে তবে কঠিন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, কুতুপালং বাজারে এসব চোরাই ও মিয়ানমারের পণ্য এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি দমাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।