মহেশখালী প্রতিনিধি:
বহু অপকর্মের হোতা, মহেশখালীর ধলঘাটার পানিরছড়ার বাসিন্দা, চাঞ্চল্যকর মজু হত্যা মামলার আসামি মোক্তার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সন্ত্রাসী গোষ্ঠির কাছে অস্ত্র পাচারকালে র‌্যাবের আটক হয়েছে।
এসময় তার সহযোগি আবদুর রহিম ও এনামও আটক হয়েছে। তাদের কাছ থেকে চারটি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে কক্সবাজার চকরিয়া বড় ভেওলা এলাকায় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আটক মো.মোক্তার আহমদ (৫২), আব্দুর রহিম (৪০),  মোঃ এনামুল হক (৩৮)। ধলঘাটার স্থায়ী বাসিন্দা। তবে এনাম ভেওলায় বাস করেন।

তাদের কাছ থেকে একটি দু’নলা বন্দুকসহ ০৪টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং অস্ত্র বিক্রয়ের নগদ এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা, খালি চেক, এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, এই তিনজন যোগসাজকে দীর্ঘদিন যাবৎ মহেশখালী ও চকরিয়া থানা এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছে দীর্ঘদিন যাবত অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে এই চক্রটি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোক্তার ধলঘাটা ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং রহিম ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। দলের প্রভাব খাটিয়ে মোকতার তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। চাঁদাবাজি, চিংড়ি ঘের ও লবণ মাঠ জবরদখল, সাধারণ মানুষকে হুমকিসহ নানাভাবে নির্যাতনসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায়। মোকতার নেতৃত্বে চাঞ্চল্যকর মজু হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

এর মধ্যের কালো টাকা আয় করতে অস্ত্র ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। মহেশখালীর অস্ত্র কারিগর কাছ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি করতো।

চকরিয়ার বড় ভেওলার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে সাথে গড়ে তুলেছে অস্ত্র ব্যবসা।
শীর্ষ সন্ত্রাসী ও অস্ত্র ব্যবসায়ী মোকতার ও তার সহযোগি রহিমকে আটক করায় পুরো ধলঘাটার সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। খুশি হয়েছেন সব স্তরের মানুষ।
র‌্যাব জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত অস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে মহেশখালী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।