ফরহাদ আমিন,টেকনাফ
টেকনাফের হাজম পাড়া সমুদ্র সৈকতে ১১৩টি কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার হাজম পাড়া ও উত্তর শীলখালী কাছিমের হ্যাচারি থেকে এসব বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়।
সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে জেলে সম্প্রদায়সহ স্থানীয় জনসাধারনের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কোডেক নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্প এ কাজ করে যাচ্ছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে কোডেক নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের কাছিম হ্যাচারিতে বাচ্চাগুলো ফোটানো হয়।ডিমগুলো৬০থেকে৬৫দিন হ্যাচারিতে রাখার পর ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে।টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া এবং উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নে সামুদ্রিক সৈকতে প্রকল্পের উদ্যোগে কাছিমের ৩টি হ্যাচারী স্থাপন করা হয়েছে।এ বছর এ পর্যন্ত ৯৯টি কাছিমের বাসা থেকে১০৮৯৫ ডিম সংগ্রহ করে উক্ত হ্যাচারী ৩টিতে সংরক্ষন করা হয়।নিদিষ্ট প্রজনন সময় পর হ্যাচারীগুলো থেকে এ পর্যন্ত ৫৪৩কাছিমের বাচ্চা পাওয়া গেছে।যা সমুদ্রে অবমুক্ত করা হয়।আর গুলো হ্যাচারীতে প্রজনের অপেক্ষায় রয়েছে।প্রজনন পরবর্তী বাচ্চাগুলো সাগরে অবমুক্ত করা হবে।
এ বিষয়ে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাপক অসীম বড়ুয়া বলেন,দাতা সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়নে কোডেক ২০২০ সাল থেকে সামুদ্রিক কাছিম সংরক্ষনে কাজ করছে।কাছিম সংরক্ষনে বিষদ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণে কোডেক ইতিমধ্যে একটি জরিপ কাজ সম্পন্ন করেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,কোডেক উপ-নির্বাহী পরিচালক কমল সেনগুপ্ত,অধ্যাপক ড.আকতার হোসেন,ফরেষ্টি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অধ্যাপক ড.বায়েজিদ মাহমুদ খান,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মিজানুর রহমান ইউসুফ,কোডেক নেচার এন্ড লাইফের প্রকল্প পরিচালক শীতল কুমার নাথ,উপ-প্রকল্প পরিচালক নারায়ন চন্দ্র, দাস,প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাপক অসীম বড়ুয়া,সাইট কো-অর্ডিনেটর মোঃশরিফুল আলম তুহিন ও মোঃ লিয়াকত আলী প্রমুখ।
সমুদ্র সৈকতে ১১৩টি কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত
