টেকনাফ বাহারছড়ার ৩ নং ওয়ার্ডের মৃত আক্কেল আলীর পুত্র আবুল বশর এর ভূমি দস্যুতা ও সন্ত্রাসী কর্ম কাণ্ডের জন্য অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ মানুষ। আবুইল্লাহ বিভিন্ন জালিয়াতির ফাঁদে পড়ে জিম্মি আছে শতশত মানুষ। এক সময়ে আবুল বশর প্রকাশ আবুইল্লাহ সাগরে চিৎড়ি পোনা ধরে জীবিকা নির্বাহ করলেও বর্তমানে সে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক। মানুষ বৈধ উপায়ে কোটি টাকার মালিক হতে পারে এটা দোষের না। তবে কেউ যদি ভূমি দস্যুতা, খতিয়ান করার নামে নামজারিতে জালিয়াতি, ভূমিহীন পরিবারকে খাস জমি থেকে জোর পূর্বক উচ্ছেদ, ইয়াবা পাচার, মানব পাচার, হত্যা, কেউ কথা না শুনলে অবৈধ টাকা নিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়ানো সহ বিভিন্ন অপরাধ করে কোটি টাকার সম্পদের মালিক হলে তার বিরুদ্ধে সবার উচিত প্রতিবাদ করা। আবুল বশর এই উল্লিখিত অপরাধ গুলো প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে। যার জন্য অতিষ্ঠ এবং ক্ষুব্ধ স্থানীয় জনসাধারণ।
আবুল বশর একজন হত্যা মামলার আসামি, পুলিশের উপর হামলার আসামি, মাদক মামলার আসামি ও ধর্ষণ মামলার আসামি হয়ে কিভাবে যে সে বাহারছড়ার পুলিশ ফাঁড়িতে যাতায়াত করে তা আমার বুঝে আসেনা। বিএনপি দল করা আবুল বশর বড়ই ক্ষমতাবান অবৈধ টাকার জোরে। তার নামে টেকনাফ থানায় হত্যা মামলা ১/১৬। স্থানীয় শামলাপুর এলাকার মোস্তাফিজুর রহমানের ভোগকরা জায়গা আবুল বশরের নেতৃত্বে দখল করতে গেলে মোস্তাফিজ তাতে বাধা দিলে আবুল বশর তাকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। এই হত্যা মামলায় আবুল বশর ২ নং আসামী। যা মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন কোর্টে প্রেরণ করতে এখনো চলমান। তবে সে মামলায় আবুল বশর এখনো কোর্ট থেকে জামিন নেয়নি।
তাছাড়াও ইয়াবা ব্যবসায়ী আবুল বশরের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা, অস্ত্র, মাদকসহ পৃথক হত্যা মামলা রয়েছে টেকনাফ থানায়। যার নাম্বার ৮৫, ৮৬, ৮৭/২০১৯। আবুল বশরের মাদক ব্যবসার বড় উৎস হল টেকনাফের হ্নীলাতে তার শ্বশুর বাড়ি। তার দ্বিতীয় স্ত্রী মোনায়ারা বেগমের বাড়ি হ্নীলাতে। তার শ্বশুর বাড়ির বেশি ভাগ সদস্য ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। যখন মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের বড়সড় অভিযান চলছিল তখন আবুইল্লার দ্বিতীয় স্ত্রী মোনোয়ারার দুই ভাই পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। সে সময় আবুল বশর প্রশাসনের ভয়ে গা ঢাকা দিলেও বর্তমানে আবার ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই ভূমিদস্যু ও ইয়াবা কারবারি। তার স্ত্রীদের নামেও কোটি কোটি টাকার সম্পদ কিনেছে অবৈধ কারবারি আবুল বশর। বড় কথা হচ্ছে তার ভূমিদস্যতার যন্ত্রণায় এলাকার অনেক মানুষ দিশেহারা। এই অপরাধীকে থামানোর জন্য এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করি।
আনিসুল ইসলাম সোহেল
শিক্ষানবিশ আইনজীবী, ঢাকা কোর্ট।
১নং সহ সভাপতি
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
সভাপতি
নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
( প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। সিবিএন- এর সম্পাদকীয় নীতি বা মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সিবিএন কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।)
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।