সিবিএন ডেস্ক:
পচা শুঁটকি ও বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে কুলসুমা ফুডের বালাচ নামের শুটকির আচার। মূলত কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের টার্গেট করে এই মানহীন পণ্য বাজারজাত করে আসছে একটি চক্র। অভিযোগ পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে মধ্যম বাহারছড়া সিরাজুল ইসলাম প্রকাশ তোতার ভাড়া বাসায় এ অভিযান চালানো হয়। উপজেলা নির্বাহী মোহাম্মদ জাকারিয়ার নেতৃত্বে অভিযানে এসময় বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মানহীন পণ্য ও বিএসটিআইয়ের নাম ব্যবহার করার অপরাধে কুলসুম ফুডের মালিক কুলসুমকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে অন্যত্রে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ আছে, চক্রটি প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিতে বছরে অন্তত চার বার স্থান পরিবর্তন করে। কেমিক্যাল ও নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার বালা চা নামের একটি শুটকির আচার তৈরি করে আসছে।
অভিযানে থাকা বিএসটিআইয়ের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক জহর লাল পাল বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর কুলসুমা ফুডে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। পুরা তৈল, নষ্ট শুটকিসহ নানা প্রকারের অসংগতি দেখা যায়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে কারখানা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, দিনের চব্বিশ ঘণ্টায় তাঁরা পণ্যের নামে বালা-চা নামক একটি আচার তৈরি করছে। দুর্গন্ধে ছড়িয়ে পড়েছে। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রাস্তা দিয়ে মানুষ হাঁটতে পারছেনা। প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।