টেকনাফ প্রতিনিধি :
টেকনাফে যৌতুক লোভী স্বামী মো. হারুনের নির্যাতনে স্ত্রী নাসিমা আক্তার প্রায় একমাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় নাসিমার পিতা মাতা ও আত্মীয় স্বজনের মাঝে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
রবিবার (১৬ এপ্রিল) নিখোঁজের ছাব্বিশ দিন পূর্ণ হলেও নাসিমার কোনো খোঁজ পাইনি তার পরিবার।
জানা গেছে, তিন বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভী বাজারের নাসিমার বিয়ে হয় টেকনাফ মিঠাপানির ছড়া এলাকার বশির আহমদের ছেলে মো. হারুনের সাথে। তাদের ঘরে একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তানও রয়েছে। কিছুদিন সুখ শান্তিতে কাটলেও তাদের মাঝে কলহ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি বারবার নাসিমা তার পিতা-মাতাকে অভিযোগ করে আসছিলেন।
নাসিমার বরাত দিয়ে তার পিতা কালা মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে মাদকের লেনদেন করতে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল তার স্বামী ও তার ভাইয়েরা। সে রাজি না হওয়াতে বিদেশ পাড়ি জমানোর জন্য টাকা দাবি করে আসছে যৌতুকলোভী স্বামী হারুন। যৌতুকের টাকা না দেওয়াতেই তার স্বর্ণালংকার কেড়ে নিয়ে মেয়ের উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। অবশেষে নিরুপায় হয়ে নিখোঁজের ৩/৪ দিন আগে দেড় লাখ টাকা হারুনকে দেওয়া হয়। এ টাকা তার পর্যাপ্ত না হওয়ায় মেয়ের উপর ফের নির্যাতন করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে মার্চের ২০ তারিখ থেকে নাসিমাকে কোথাও খোঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। বিষয়টি খবর পেয়ে বিভিন্ন সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুজি করেও মেয়ের হদিস পায়নি অসহায় পিতা।
কালা মিয়া আরও বলেন, মেয়েকে ধারকর্জ করে দামি দামি আসবাবপত্র, টিভি ফ্রিজ দিয়ে বিবাহ দিয়েছিলাম। তার স্বামীর নির্যাতনে মেয়ে কোথায় আছে এখনো খোঁজ মেলেনি। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়ায় যাবে বলেও জানান পিতা কালা মিয়া।
এ ব্যাপারে হারুন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মেয়েটি পরকিয়ায় লিপ্ত হয়ে কোথাও পালিয়েছে।