আহমদ গিয়াস:
কক্সবাজার শহরতলীর দরিয়ানগর বড়ছড়া ঝাউবন বিদ্যা নিকেতনে সন্ত্রাসী হামলা ও ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত প্রায় ৯টার দিকে এলাকার শিশু-কিশোররা সেখানে পিকনিক করার সময় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর শত শত গ্রামবাসী ওই স্কুলে জড়ো হয়ে প্রায় দেড়ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কেউ আটক হয়নি।
স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মোশাররফ ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম জানান, শনিবার রাতে স্কুল পড়ুয়া কিছু শিশু সেখানে পিকনিক করার সময় অতর্কিতভাবে ১০/১২ জন রাজারবাগী সন্ত্রাসী এসে ‘তোরা এখানে কি’ বলে তাদের ওপর হামলা চালায় এবং খাবার-দাবার মাটিতে ফেলে দেয়। পরে ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ডেও ভাংচুর চালায় তারা। আকস্মিক এ হামলায় শিশুরা আর্ত চিৎকার শুরু করলে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে। এসময় মুজাজিদ নামের একজন সন্ত্রাসী তার মোবাইল ফোনটি ফেলে যায়। এ ঘটনায় আনিস (১০), বাবু (১২), সাজ্জাদ (১১), নয়ন (১৭)সহ অন্তত ৬ শিশু আহত হয়েছে।
তারা আরো জানান, হামলাকারীদের ফেলে যাওয়া এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন থেকে দুটি ভ‚য়া ফেসবুক একাউন্টের মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী ও সাইবার সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতো মুজাহিদ নামের সন্ত্রাসী-জঙ্গীটি। এই সন্ত্রাসী এলাকার কুখ্যাত মামলাবাজ পরিবারের সন্তান। তারা সরকারি জমি জবর দখল ও বিক্রি করে আসছে। এছাড়া রাতের আধাঁরে এখানে অচেনা লোকের আনাগোনা থাকায় জঙ্গী প্রশিক্ষণ নিয়েও জোর গুঞ্জন রয়েছে।
কৃষকলীগ নেতা ইমাম হোসেন বলেন, ১৪ বছর পর আমরা ওই স্কুলটি পুনরুদ্ধার করে পক্ষকাল আগে সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছি। অথচ রাজারবাগীরা আস্তানা তৈরির পর স্কুলের ফ্ল্যাগস্ট্র্যান্ড ভেঙ্গে ফেলেছিল। জাতীয় পতাকার পরিবর্তে সেখানে পীরের পতাকা ওড়ানো হতো।
প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য আল্লামা আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা জানিনা এই উগ্রপন্থী ও বিতর্কিত পীর সিন্ডিকেটের খুঁটির জোর কোথায়? তারা কি করে স্বাধীন বাংলাদেশে জাতীয় পতাকার স্ট্যান্ড ভাঙ্গার দু:সাহস দেখায়?
তিনি বলেন- আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জাতীয় পতাকার স্ট্যান্ড পুন:নির্মাণ করে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের দাবি জানাই এবং রাজারবাগী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার দাবি জানাই।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।