এম.মনছুর আলম,চকরিয়া :
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২-এ কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচ্য চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ উপজেলা পর্যায়ে নানা ক্যাটাগরিতে এর শ্রেষ্ঠত্বের ধারা অব্যাহত রেখেছে। অতীতের ন্যায় এবছরও চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা ১২টি ইভেন্টে প্রথম স্থান অর্জন করে।
ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গেল বছরে এসএসসি পরীক্ষায় জেলার সর্বাধিক জিপিএ-৫ নিয়ে সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত নির্ধারিত বক্তব্য প্রতিযোগিতায় নূর-ই নাজাত দিবা প্রথম,
তৎক্ষনাত অভিনয়ে (ক-গ্রুপ) মুনযারিন ইসলাম রামিসা প্রথম, হামদ-নাত প্রতিযোগিতা তাসনিম জামাল রাহমা প্রথম তৎক্ষনাৎ অভিনয় (খ-গ্রুপ) তাসনিম জামাল রাহমা প্রথম, কবিতা আবৃত্তিতে সিদরাতুল মুনতাহা ইলমা প্রথম, দেশের গান প্রতিযোগিতা অনন্যা দত্ত দিবা প্রথম, নজরুল সংগীত প্রতিযোগিতা হাসানুল আবেদিন শিশির প্রথম, কুরআন তেলাওয়াত
প্রতিযোগিতা তানহা নোমান ইদি প্রথম, বাংলা রচনা প্রতিযোগিতা এবং ইংরেজি রচনা প্রতিযোগিতা দুটিতে প্রথম হয়েছে
শ্রাবন্তী সুশীল, নজরুল সংগীত (খ-গ্রুপ) প্রতিযোগিতা ও রবীন্দ্র সংগীত (খ-গ্রুপ) প্রতিযোগিতা প্রথম হয়ে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থী বিজয়ী হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে সুদীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়ায় অভাবনীয় সাফল্যে অর্জনের মধ্যদিয়ে দেশজুড়ে সমাদৃত হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ। ২০২২ সালে প্রাথমিকের সরকারি বৃত্তি পরীক্ষায় ২১ জন শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ গ্রেডে ১১ জন শিক্ষার্থীসহ ৩২ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়ে জেলা পর্যাযে অসাধারণ ফলাফলে সাফল্যের সাক্ষর রেখে শ্রেষ্টত্ব অর্জন করে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে। এছাড়াও গেল বছরের এস এস সি পরীক্ষায়ও ২১৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে চট্টগ্রাম বিভাগে অষ্টম, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।
চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক নুরুল আখের বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, পরিচালনা কমিটির আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় আজকে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। আশা করি আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাবো। তিনি আরও জানান, একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শারিরীক ও মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিয়মিত খেলাধুলা, স্কাউটস, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য চর্চায় প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আসছে। ভবিষ্যতেও লেখাপড়ার গুণগত মান উন্নয়ন বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষা ক্ষেত্রে আলো ছড়িয়ে দিয়ে সাফল্যের শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখতে ও বিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।