ডেস্ক নিউজ:
পরিকল্পিত কক্সবাজার গড়ার লক্ষ্যে ও কউকের সেবা জনসাধারণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে শীঘ্রই চকরিয়া ও টেকনাফে কউকের জোনাল অফিস চালু হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) এর চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার, এনজিপি, এনডিসি, পিএসসি, বিএন (অব.)। কউকের বোর্ড সভায় তিনি আজ এ কথা জানান।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ২২তম বোর্ড সভা আজ (৩১ মে ২০২৩ তারিখ) কউক সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে কউকের চলমান প্রকল্পসমূহের প্রকল্প পরিচালকগণ স্ব স্ব প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতির চিত্র বোর্ডের সদস্যগণের নিকট তুলে ধরেন। তন্মধ্যে হলিডে মোড়-বাজারঘাটা-লারপাড়া (বাস স্ট্যান্ড) প্রধান সড়ক সংস্কারসহ প্রশস্তকরণ, আবাসিক ফ্ল্যাট উন্নয়ন প্রকল্প-১ এবং কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন অন্যতম। কউক চেয়ারম্যান প্রকল্পের গুণমত মান অক্ষুণ্ন রেখে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে প্রকল্প পরিচালকগণকে অনুরোধ করেন। এছাড়াও কক্সবাজারের প্রণীতব্য মহাপরিকল্পনায় যাতে স্থানীয় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয় তার জন্য উপজেলা পর্যায়ে শীঘ্রই জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় সভা আয়োজনের নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়াও সভায় কউকের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও প্রস্তাবিত প্রকল্পসমূহ নিয়ে বোর্ড সদস্যগণকে অবহিত করা হয়।
এছাড়াও কউকের উদ্যোগে মহেশখালী উপজেলার গোরকঘাটা জেটিঘাট এলাকায় জনসাধারণের সুবিধার্থে যাত্রী ছাউনি, পাবলিক টয়লেট, নামাজের স্থান, রেস্টুরেন্ট ও ভাস্কর্য ইত্যাদি নির্মাণ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বোর্ড সদস্যগণকে অবহিত করা হয়। সদস্যগণ কউকের এই জনহিতকর উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এটি মহেশখালী জেটিঘাট ব্যবহারকারীগণের দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ করবে এবং মহেশখালীর পর্যটন আকর্ষণে ভূমিকা রাখবে।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব) মোঃ আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত বোর্ড সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ, চুয়েটের নগর পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও কউক এর সদস্য (প্রকৌশল) লে: কর্নেল মো: খিজির খান পিইঞ্জ, কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, জেলা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, কক্সবাজার পৌরসভার প্রতিনিধিসহ স্থানীয় বোর্ড সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।