সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক কক্সবাজার বার্তার বিশেষ প্রতিবেদক এম এ সাত্তার ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে কক্সবাজার শহীদ মিনার চত্বরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ৪ জুন বিকাল ৪ টার দিকে সাংবাদিক সংসদ কক্সবাজারের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক ইনকিলাবের কক্সবাজার অফিস প্রধান শামসুল হক শারেক।
সাংবাদিক সংসদ কক্সবাজার এর সভাপতি এম এ আজিজ রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাংবাদিক সংসদ কক্সবাজারের সহ—সভাপতি আমান উল্লাহ, সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি শাহাদাত হোসেন, দরিয়া নগর নিউজ (ডিএনএন) এর নির্বাহী সম্পাদক ইসলাম মাহমুদ, রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজারের সহ—সভাপতি মিজানুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, জিকির উল্লাহ জিকু ও মহিউদ্দিন মাহী।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সংবাদ মাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা ছাড়া যেকোনো দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। পেশাগত কাজ করতে গিয়ে সাংবাদিকেরা ঘায়েল হলে তার প্রভাব সমাজ ও দেশের উপর পড়বে। যা অপরাধীদের উৎসাহিত করার শামিল। এভাবে চলতে থাকলে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হবে। অবিলম্বে সাংবাদিক এম এ সাত্তার ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান সাংবাদিকরা।
সাংবাদিক সংসদ কক্সবাজারের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম শামসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ ফরিদ, আব্দুর রশিদ মানিক, আশরাফ বিন ইউসুফ, এন এ সাগর, সাজন বড়–য়া সাজু, সাদেক হোসেন খোকা, শাহাদাত উল্লাহসহ আরও অনেকে। মানববন্ধনে একাত্বতা প্রকাশ করেন কক্সবাজার সদর প্রেস ক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজার ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিটি।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক সাত্তারের পিতামাতার কবরের স্থানে নেমপ্লেট ও সুরক্ষা দেয়াল দেয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর গত ০৪ মে কক্সবাজার সদর উপজেলা পিএমখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ছনখোলা নয়াপাড়ার বাসিন্দা মৃত মনির আহম্মদের ছেলে সাইফুল ইসলাম একটি একটি কুচক্রী মহলের সাথে আঁতাত করে তাবিজ ব্যবসায়ী মোখলেচের কালো টাকা দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিভাবে মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেন।