ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
গত ১৪ মে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে বয়ে গেল ঘূর্ণিঝড় মোখা। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টেকনাফের বাসিন্দারা। এরই মাঝে সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ঘূর্ণিঝড়ের ধকল না কাটতেই মাছ ধরার উপর নিষেধাক্কায় খুবই কষ্টে পড়ে গেল জেলে পরিবারগুলো। দুর্দিন যাচ্ছে অনেকের। ক্ষতিগ্রস্ত এসব জেলে পরিবারের পাশে দাঁড়ালো লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল।
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির জেলা ৩১৫-এ১ এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের আড়াইশ জেলে পরিবারে শুকনো খাবার, পানীয়সহ ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন লায়ন্স জেলা ৩১৫-এ১ এর গভর্ণর ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে লায়ন্স ক্লাবের প্রায় ২৬ হাজার সদস্য রয়েছে। যাদের কাজই হচ্ছে মানবতার পাশে দাঁড়ানো।
গত ১৪ মে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাংশে কক্সবাজার সংলগ্ন টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও মহেশখালীর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়। এর মধ্যে মহেশখালীতে ৩ জন লবণ চাষী মারা যায়। অনেক কৃষক এবং দরিদ্র লবণ চাষী, জেলেসহ ওই অঞ্চলে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই সকল দুর্গত ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় লায়ন্স ক্লাব অব কক্সবাজার ফ্রিডম বিপুল পরিমাণ সার্ভিস প্রদান করে। যার মধ্যে সচেতনতা ও সাবধানতাসহ উপকূলবাসীকে সাইক্লোন শেল্টারে সরিয়ে নেয়। তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় খাবার ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করে। এসকল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিশেষ করে টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, মহেশখালী ও কক্সবাজার এলাকায় মানবিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩১৫-এ ১ এর সাথে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় এতদঅঞ্চলে প্রায় ২,৮০০ জেলে পরিবারে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, কাপড় ও জরুরী ঔষধ সরবরাহ করে।
ত্রাণ বিতরণকালে লায়ন্স জেলা ৩১৫-এ১ ডিজি (ইলেক্ট) দেওয়ান মো: সালাউদ্দিন, কেবিনেট সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার নিয়াজ উদ্দিন ভূইয়া, জেলা এলসিআইএফ কো-অর্ডিনেটর কাইকোবাদ মো: শরিফুজ্জামান, ত্রাণ কমিটির চেয়ারম্যান জাফর বাদশা, লায়ন্স ক্লাব কক্সবাজার ফ্রিডম এর প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সাহেদ সালাউদ্দিন, এডভোকেট একরামুল হুদা, মিজানুল করিম, শামসুদ্দীন ফারুকী, অধ্যক্ষ মোঃ দিদারুল্লাহ, ছৈয়দ নুর জাহাঙ্গীর, শহিদুল করিম শহিদ, জসিম উদ্দিন, রহমত উল্লাহসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।