জালাল আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তানী মুসলিমদের হত্যাকারী ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সাথে গোপনে রাষ্ট্রবিরোধী বৈঠক ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জঙ্গি গোষ্ঠী কুকি চীনের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অপরাধে গণ অধিকার পরিষদের বহিষ্কৃত সদস্য-সচিব এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ ৯ জুলাই রবিবার বিকাল ৪টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আরোও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা ভাস্কর্য শিল্পী রাশা, সংগঠনের সহ-সভাপতি রোমান হোসাইন, শাহীন মাতুব্বর, ইঞ্জি. কামরুজ্জামান রাজুসহ নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, "গণ অধিকার পরিষদ নামক তথাকথিত রাজনৈতিক দলের বহিষ্কৃত সদস্য-সচিব নুরুল হক নুর হজ্জ্ব করার কথা বলে বিদেশে সফরে গিয়ে সংযুক্ত অরব আমিরাতের দুবাইয়ে অস্বীকৃত ইসরাইল রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সাথে বৈঠক করে বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকার উৎখাতের দেশবিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। মোসাদ এজেন্ট মেন্দি এন সাফদির সাথে নুরুল হক নুরের ছবি ও তার স্বীকারোক্তিমূলক কথোপকথন ইতোমধ্যেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। আল্লার পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফের নাম করে বিদেশে গিয়ে ইহুদীচক্রের সাথে হাত মিলিয়ে নুরুল হক নুর প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্র, সরকার ও পবিত্র ধর্ম ইসলামের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। ইসলামের খোলসে মাথা নেড়িয়ে টুপি পরে জুয়িশ-জায়নবাদী প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে এবং সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফেসবুক লাইভে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। সম্প্রতি গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়ার বক্তব্যে ইসরায়েলের মোসাদের সাথের নুরুল হক নুরের যোগাযোগ ও আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। সম্প্রতি ডিবিসি ও সময় টিভিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্রোহী জঙ্গি গোষ্ঠী কুকি চীনের সাথে নুরুল হক নুরের যোগাযোগ রয়েছে যা দেশের প্রচলিত আইন পরিপন্থি এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে নুরুল হক নুরের যোগাযোগ প্রমাণ করে নুর বিদেশি শক্তির নির্দেশে জনগণের আবেগকে ব্যবহার করে রাজনীতির নামে প্রকৃতপক্ষে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায়। দেশের অভ্যন্তরে কুকি চীনসহ কতিপয় জঙ্গি গোষ্ঠীকে ব্যবহারের মাধ্যমে নুরুল হক নুর রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র নির্যাতিত-নিপীড়িত ফিলিস্তিনদের অধিকারের পক্ষে সবসময় থাকলেও ইসরাইল ও মোসাদের সহযোগিতায় নুরুল হক নূর ও তার রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদ সাধারণ নেতাকর্মীদের উষ্কে দিয়ে রাষ্ট্রের মধ্যে ঘৃণা, বিদ্বেষ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আইনবলে প্রতিষ্ঠিত বৈধ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিধায় এই আসামি নুরুল হক নূর রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধ সংঘটিত করেছে।লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তানী মুসলিমদের হত্যাকারী ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সাথে গোপনে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অপরাধে গণ অধিকার পরিষদের সদস্য-সচিব নুরুল হক নূরকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কিছুদিন আগে গণভবন ও বঙ্গভবন দখল করার হুমকি দিয়ে বিকাশ অধিকার পরিষদের দালাল নুরুল হক নুর দেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন করেছিল। দুবাইয়ে কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাথে বাংলাদেশ বিরোধী গোপন বৈঠক করে নুরুল হক নূর আবার রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করেছে। একটি দেশের প্রতিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে এ ধরনের ষড়যন্ত্র সমাজ ও রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা তৈরির নতুন অপচেষ্টা। নুরুল হক নুর ও রেজা কিবরিয়াকে দ্রুত গ্রেফতার করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রাষ্ট্র বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র জাতির সামনে উন্মোচিত হবে।তথাকথিত ইসলামি সংগঠন হেফাজত, ইসলামি আন্দোলনের এ বিষয়ে নীরবতাই প্রমাণ করে তাদেরও মোসাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। এদেরকেও নজরদারিতে রাখতে হবে। এরা কখনোই ইসলামের আদর্শ চর্চা করে না। জনগণের ধর্মীয় পুঁজিকে ব্যবহার করে অপরাজনীতি ও ফায়দা লুটের চেষ্টা চালায়।
সম্প্রতি ফিলিস্তিনি মুসলিমদের হত্যাকারীদের সাথে গোপন বৈঠক করে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে নুর গংরা। এরা এদেশে ইহুদিদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। ভুঁইফোঁড় সংগঠন গণঅধিকার পরিষদের নামে বিভিন্ন ফেসবুক পেজে বিকাশ একাউন্ট নাম্বার দিয়ে চাঁদাবাজি করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করাই এদের মূল উদ্দেশ্য। ইসরায়েল ও পাকিস্তানের পেইড এজেন্ট নুরাকে অনেক আগেই গ্রেফতার করা উচিত ছিল। নুরুল হক নুর গংরা প্রতিনিয়ত দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সম্প্রতি গণতন্ত্র মঞ্চ নামে আবার নতুন রাজনৈতিক দোকান খুলে নুর-রব-মান্না গংরা চাঁদাবাজি করে জনগণের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে। মান্না, সাকী, রেজা, নুরা গংরা এদেশকে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান বানানোর দিবাস্বপ্নে মতে উঠেছিল। জনগণ সেই ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। একাত্তর থেকে বাংলাদেশ এদের নিকট কখনোই পছন্দ নয়। এসব স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানি অপশক্তির দালালদেরকে পার্সেল করে ইসরায়েলে পাঠাতে হবে। অতীতের মতো ভবিষ্যতেও জনগণকে সাথে নিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি নুরা গংদেরকে উপযুক্ত জবাব দিবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। ইসরায়েলের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাথে বৈঠক করে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অপরাধে নুরুল হক নুর ও রেজা কিবরিয়াকে দ্রুত গ্রেফতার করে রিমান্ডে এনে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে। গত শুক্রবার শাহবাগ থানায় দায়েরকৃত রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আমলে নিয়ে নুরকে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় ইসলাম বিরোধী অপশক্তি ও ইহুদিদের দালাল নুরুল হক নুরকে কে শক্তহাতে প্রতিহতসহ সমগ্র দেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।"
সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, "রাজাকারের বাচ্চাদের সাহস দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। পাকিস্তান ও ইসরায়েলের দালাল নুরুল হক নুরের আস্তানা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে এদের সবাইকে ধরে ধরে পাকিস্তান ও ইসরায়েলে পাঠাতে হবে। এরা দেশ ও জাতির শত্রু। মুসলিমদের হত্যাকারী ইসরায়েলের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাথে এ ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহী বৈঠকের পরেও নুরকে এখনো কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? নুর কি রাষ্ট্রের চেয়ে বেশী শক্তিশালী? নুরকে গ্রেফতার করে রাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। দেশের সংবিধান ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার অপরাধে নুরুল হক নুরকে দ্রুত গ্রেফতার না করলে নুর কে যেখানে পাওয়া যাবে , সেখানেই প্রতিহত করবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।"
সংগঠনের সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান রাজু বলেন, "বীর মুক্তিযোদ্ধারা ও তাঁদের সন্তানরা এখনো বেঁচে আছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র জমা দিয়েছে কিন্তু ট্রেনিং জমা দেননি। নুর তুমি সাবধান হয়ে যাও। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানরা রাস্তায় নামলে তুমি পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। ভুঁইফোঁড় গণ অধিকার পরিষদের নামে পরিচালিত ইহুদি মোসাদের পেইড এজেন্টদের প্রত্যেককে ধরে ধরে ইসরায়েলে পাঠিয়ে দেয়া হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র করলে আমরা কখনোই ঘরে বসে থাকবো না। প্রয়োজনে আবার যুদ্ধ করে রাজাকারের বংশধরদের নির্মূল করবো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট দাবি, দেশ ও জাতির স্বার্থে নুরকে দ্রুত গ্রেফতার করে রিমান্ডে এনে প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।"
সংগঠনের সহ-সভাপতি রোমান হোসাইন বলেন, "মোসাদ ও কুকি চীনের এজেন্ট নুরা গংদের মধ্যে দেশপ্রেম নাই। এরা দেশ ও জাতির শত্রু। মুসলিম হত্যাকারী ইসরায়েলের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাথে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে নুর তার ইসলাম বিরোধী চরিত্র জাতির সামনে উন্মোচিত করেছে। বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস সংকট ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের প্রতিটি দেশ সাময়িক সমস্যায় পড়েছে। বাংলাদেশ খুব শীঘ্রই এই সাময়িক সমস্যা কেটে উঠবে। সেই সাময়িক সংকটকে পুঁজি করে নুর গংরা প্রতিনিয়ত গুজব ছড়িয়ে দেশে ও জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এদের থাকার কোন নৈতিক অধিকার নেই। ইহুদি শক্তির ওপর ভর করে এরা অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে চায়। কারণ বিএনপি ও বিকাশ অধিকার পরিষদের নেতারা এখন সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন। এলাকায় এদের ইউপি মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা নেই। এদের ধান্দাবাজি ও প্রতারণা জনগণ ইতিমধ্যে বুঝে গেছেন। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এরা এদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও সমৃদ্ধি ব্যাহত করার জন্য এরা একের পর এক রাষ্ট্র বিরোধী গোপন বৈঠক, মিথ্যাচার ও গুজব ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরীর চেষ্টা চালাচ্ছে। এদেরকে জনগণ অবশ্যই রুখে দিবে। কারণ এদেশের জনগণ এখন অনেক সচেতন। নুরা পাগলাকে গ্রেফতার না করলে তাকে যেখানে পাওয়া যাবে , সেখানেই প্রতিহত করে ইসরায়েলে পাঠিয়ে দেয়া হবো।
সংগঠনের সহ-সভাপতি শাহীন মাতুব্বর বলেন, "বিকাশ অধিকার পরিষদের নেতা নুরা পাগলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা করেছিল। ধান্দাবাজি করাই এদের মূল উদ্দেশ্য। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখন নুর গংদের ঘৃণার চোখে দেখে। বাংলাদেশের তথাকথিত ইসলামি দলগুলো এখন কোথায়? দুবাইয়ে ইসরায়েলের সাথে নুরের গোপন বৈঠক নিয়ে এরা এখন কেন কথা বলছে না। কারণ এরাও ইসরায়েলের দালাল। এরা মুসলিমদের ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করে ব্যবসা করে। প্রশাসনের কাজটা কি? মুসলিমদের হত্যাকারী ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের মেন্দি এন সাফাদির সাথে বাংলাদেশ বিরোধী গোপন বৈঠক, রাষ্ট্র প্রধান ও সরকার প্রধানের বাড়ি দখলের হুমকি দেওয়ার পরেও এখনো নূরকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? প্রশাসনকে অবশ্যই তাদের অবস্থান জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র বরদাশত করবে না বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।"
আরো খবর
রামুতে ৩৫৭ শিক্ষার্থীকে মোবাইল ট্যাবলেট বিতরণে এমপি কমল