নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের ২৫ ঘণ্টার মাথায় শিশু শিক্ষার্থী ফারিহা খানম (৯) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৫টায় নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হ্নীলা দারুস্সুন্নাহ মাদ্রাসার ড্রেনে মরদেহটি পাওয়া যায় বলে নিশ্চিত করেছেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী।
র্যাব-১৫ এর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় হ্নীলা দারুসসুন্নাহ মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক মুফতি আলী আহমদের ছেলে ইরফানকে আটক করেছে।
এর আগে চেয়ারম্যান জানান, গেল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টায় বাড়ির সামনে রাস্তা থেকে অপহরণ করা হয় ফারিহাকে। সে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদার পাড়ার সানা উল্লার মেয়ে এবং হ্নীলা দারুসসুন্নাহ নুরানী মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
তার বাবা ছানা উল্লাহ বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির সামনে রাস্তা থেকে মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ-খবর নিয়ে কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যাননি। রাতে আমার মোবাইল ফোনে ০১৮৪৬৪৫৫৫০৫-এ নম্বর থেকে কল করে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছিল।
র্যাবের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, আশুরার বন্ধ উপলক্ষে মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় আটককৃত ইরফান তার বাবার মাদ্রাসার নির্দিষ্ট ২২ নং কক্ষে নিয়ে গিয়ে রাতে ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে রাত ৩ টায় মাদ্রাসার ভেতরের ড্রেনে ফেলে দেয়া হয়।
মরদেহ উদ্ধারের পর টেকনাফ থানার ওসি মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, ‘শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।