আব্দুস সালাম,টেকনাফ:

নাফনদীতে এক জেলের বড়শিতে ২৭ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ ধরা পড়েছে।

টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়ার ট্রানজিট জেটিঘাটে শনিবার(২৯ জুলাই) দুপুরে বড়শি দিয়ে মাছটি ধরেন মোহাম্মদ কাদের নামের এক জেলে।

পরে তিনি মাছটি পৌরসভার বাসস্টেশন মাছ বাজারে নিয়ে গেলে সেখানে ২৫ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন সদর ইউনিয়নের হাজমপাড়ার ব্যবসায়ী শাহ জালাল।

জেলে মোহাম্মদ কাদের জানান, চৌধুরীপাড়ার ট্রানজিট জেটি ঘাটে নাফনদীর তীরে দুপুরে বড়শি ফেলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর তিনি বড়শি টেনে তুলছিলেন। বড়শিটি খুবই ভারী মনে হলে কৌশলে টেনে জেটির পাশে নিয়ে আসেন। একপর্যায়ে তিনি দেখতে পান, বড় একটি কোরাল মাছ বড়শিতে ধরা পড়েছে। পরে তিনি মাছটি পৌরসভার বাসস্টেশনের মাছ বাজারে নিয়ে আসেন।

মাছ ব্যবসায়ী শাহ জালাল বলেন, ২৭ কেজি ওজনের কোরাল মাছটি ২৫ হাজার টাকায় তিনি ক্রয় করেছেন। মাছটি কেটে বিক্রি করবেন। ভালো দামের আশায় মাছটি বরফ দিয়ে একটি ঝুড়িতে রেখেছেন। প্রতিকেজি ১ হাজার ৫০ টাকা দরে বিক্রি করার কথাও বলেন।

টেকনাফ পৌর জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি মো. আলমগীর বলেন, মাদক পাচাররোধ করতে ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে নাফনদীতে মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। তবে টেকনাফের ট্রানজিট জেটি, শাহপরীরদ্বীপ জেটিঘাট ও নাফনদীর বিভিন্ন স্থানে কিছু জেলে বড়শিতে মাছ ধরে জীবন–জীবিকা নির্বাহ করছেন। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় নৌকা ও জাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। লোকসান গুনতে হচ্ছে নৌকা ও জালের মালিকদের। সরকারি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পাশাপাশি জেলেদের মাছ ধরার সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, নাফনদীর কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু। এই মাছ সাধারণত ৩০-৩৫ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। কোনো কোনো সময় এর বেশি ওজনের কোরালও পাওয়া যায়। প্রজনন মৌসুমসহ সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় নাফ নদীতে এমন বড় কোরাল পাওয়া যাচ্ছে।