আব্দুস সালাম,টেকনাফ:
টেকনাফের সাবরাংয়ে অভিযান চালিয়ে দেড় লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রবিবার (৩০ জুলাই) ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৫ হতে আনুমানিক ৪০০ গজ দক্ষিণ দিকে আলুগোলা এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর এবং সাবরাং বিওপি থেকে দুইটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে লবণ মাঠের আইল ও বেড়ীবাঁধের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে।
তিনজন ব্যক্তি তিনটি কালো পলিথিনের ব্যাগ হাতে বেড়ীবাঁধ অতিক্রম করে সীমান্তের শূন্য লাইন হতে আনুমানিক ৮০০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বর্ণিত স্থানের দিকে আসতে দেখে।
তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে দূর থেকে বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে হাতে থাকা তিনটি পলিথিনের ব্যাগ ফেলে দ্রুত নাফনদীর পার্শ্বে ঘন কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ঐ স্থানে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারিদের ফেলে যাওয়া তিনটি পলিথিনের ব্যাগ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (মালিকবিহীন অবস্থায়) জব্দ করা হয়।
উক্ত এলাকায় সকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারি কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। চোরাকারবারিদের শনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরো জানান,উদ্ধারকৃত মালিকবিহীন ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম গ্রহণ পরবর্তীতে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।