হাবিবুর রহমান সোহেল:

প্রতিনিয়ত মানুষের সাথে হাতির সংঘাত বেড়ে চলেছে। জেলার অধিকাংশ বন্যভূমি মানুষের দখলে নিতে মরিয়া। শুধু নিজের চিন্তা করলে হবে না। মহান আল্লাহর সৃষ্টি অন্য প্রাণীদের ও পৃথিবীতে বাঁচার অধিকার রয়েছে। বন্যপ্রাণীর সাথে যেন সংঘাত না হয় সেদিকে সবার নজর থাকা দরকার। মানুষের সাথে হাতির সংঘাত বন্ধ করতে হবে। মানুষের সাথে বন্যহাতির সংঘাত যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে বনবিভাগ কাজ করছে। বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থল ছেড়ে দিতে হবে আমাদের। তাদের নিরাপদ আবাসস্থল হলে মানুষের উপর আঘাত করবে না। বন্যপ্রাণী রক্ষায় আমাদের সকলের একসাথে কাজ করতে হবে।
তারজন্য প্রথমে আমাদের নজরে রাখতে জ
হবে যেন বনভূমি দখল না হয়। বাকঁখালী রেন্জ কর্মকর্তা সরওয়ার জাহানের পরিচালনায়, কথাগুলো বলছিলেন কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ( ডিএফও) মো. আনোয়ার হোসেন সরকার। সোমবার (২২ নভেম্বর) কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বাকঁকালী রেঞ্জ কর্তৃক আয়োজিত, কচ্ছপিয়া বিট অফিসের সহযোগিতায় কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের সহযোগিতায় “মানুষ – হাতি সংঘাত” নিরসন শীর্ষক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জনসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সহকারী বনসংরক্ষক ডক্টর প্রান্তোষ চন্দ্র রায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম। দৈনিক কক্সবাজার প্রতিদিনের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ও সিপ্লাস টিভি, আমাদের সময় মিডিয়া গ্রুপ প্রতিনিধি আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান সোহেল, মৌলভির কাটা বিট কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ঘিলাতলী বিট কর্মকর্তা আবদুল আওয়াল, সাবেক মেম্বার নুরুল আবছার, ইউনুচ মেম্বার, এফজি নুরুল আলম, সূর্ষ কুমার সিংহ প্রমুখ। সভায় দেড়শতাধিক নারী-পুরুষ,স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ বন বিভাগের ফরেস্টারসহ ভিলেজারগণ উপস্থিত ছিলেন। জনসচেতনতামূলক সভায় বক্তারা মানুষ হাতি সংঘাত নিরসন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এলাকাবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান করেন।
রেন্জকর্তা অনুষ্টানের প্রধান সম্ণয়ক ও পরিচালক সরোয়ার জাহান বক্তৃতায় বলেন, বন্যপ্রাণী ও বন্যহাতি সংরক্ষণ আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।নির্বিচারে বন্যপ্রাণী হত্যা, ধরা এবং শিকার করা যাবে না । বন্যহাতিদের আঘাত করে নিধন করলে প্রকৃতির ভারসাম্যে বিরাট প্রভাব ফেলবে। তিনি আরো বলেন, সামাজিকভাবে সচেতন হয়ে আমাদের মানুষ ও হাতি সংঘাত নিরসন করে বন্যপ্রাণী ও হাতিদের বাঁচাতে এগিয়ে এসে বন সম্পদ রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বন্যহাতি লোকালয়ে চলে আসলে তিনি বন বিভাগকে অবগত করার অনুরোধ জানান, তবুও যেন হাতিকে আক্রমণ করা না হয়। বন্যহাতি, বন্যপ্রাণী , বনজদ্রব্য, বনভূমি রক্ষার্থে বন বিভাগ সজাগ রয়েছেন। মানুষ ও হাতির সংঘাত নিরসন এবং বনজসম্পদ, বন্যপ্রাণী রক্ষা এবং বনভূমি জবরদখলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তিনি।