মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
কক্সবাজার জেলা পরিষদ কে একটি জনবান্ধব, সৃজনশীল, মানবিক ও গতিশীল প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। তাই এ প্রতিষ্ঠানকে যেকোন মূল্যে দুর্নীতিমুক্ত রাখা হবে। পরিষদে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবেনা।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এবিসি ঘোনার চেয়ারম্যান ঘাটাস্থ মসজিদে বায়তুল্লাহ কমপ্লেক্সে জুমা'র নামাজের পূর্বে মুসল্লীদের উদ্দ্যেশে প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুল হক মার্শাল একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, গত ৮ মাসে তাঁর দায়িত্ব পালনকালে পুরো জেলাবাসীর জন্য কক্সবাজার জেলা পরিষদকে একটি গণমূখী ও কল্যানকর প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলার প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছি। এজন্য, কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রতি মানুষের আস্থা ও প্রত্যাশা বেড়েছে। উন্নয়ন কাজে সীমিত সম্পদের সুষম বণ্টন করে বিভিন্ন ক্যাটাগরীর উন্নয়ন খাতে জেলা পরিষদের নিজস্ব অর্থ ও মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত ৮ মাসে পুরো জেলায় ৬ কোটি টাকারও অধিক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যা অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় অনেক বেশী উন্নয়ন। ফলে মানুষ জেলা পরিষদের যথাযথ সেবা পাচ্ছে এবং উন্নয়ন কাজের সুফল ভোগ করছে।
কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুল হক মার্শাল নিজ নিজ এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান সহ সকল ধর্মীয় ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গুলোর উন্নয়নে এলাকার বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। যাতে এলাকার প্রতিষ্ঠান গুলো আরো সমৃদ্ধ হয়।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, কক্সবাজারের কৃতি সন্তান মোহাম্মদ শফিউল আরিফ বলেন, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এলাকার প্রতিও তাঁর দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই তিনি সবসময় এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা সহ কল্যানকর প্রতিষ্ঠান গুলোর উন্নয়নে সাধ্যমত সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন। যুগ্মসচিব মোহাম্মদ শফিউল আরিফ আরো বলেন, এ মসজিদ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমার মরহুম পিতা মোহাম্মদ আবু তাহের কুতুবী'র স্মৃতি জড়িত। তাই এ মাসজিদের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারলে আমি তৃপ্তি পাই, প্রশান্তি অনুভব করি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে মসজিদে বায়তুল্লাহ কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মমতাজুল হক, মতোওয়াল্লী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী, খতিব হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ ফারুক বক্তব্য রাখেন। মসজিদে বায়তুল্লাহ কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মমতাজুল হক তাঁর বক্তব্যে সম্মানিত অতিথিবৃন্দ মূল্যবান সময় দিয়ে মসজিদের দ্বিতীয় তলার নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করতে আসায় তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
জুমা'র নামাজ শেষে প্রধান অতিথি কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুল হক মার্শাল, বিশেষ অতিথি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, কক্সবাজার জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবউল করিম সহ অন্যান্যরা মসজিদের দ্বিতীয় তলার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ কাজের ফলক উন্মোচন করেন। ফলক উন্মোচন শেষে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ ফারুক মোনাজাত পরিচালনা করেন।
এর আগে প্রধান অতিথি কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুল হক মার্শাল, বিশেষ অতিথি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, কক্সবাজার জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবউল করিম মসজিদ প্রাঙ্গণে পৌঁছালে মসজিদে বায়তুল্লাহ কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মমতাজুল হক, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আমান উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান চৌধুরী মার্শাল, আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম ওয়াজেদ, হজরত মায়মুনা (রা:) মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল হোসাইন, সহকারী প্রধান শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ জুনায়েদ, সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মদ আমান উল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ, সদস্য মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, ব্যাংকার মোহাম্মদ জাহেদ উল্লাহ জাহেদ, মোহাম্মদ ওমর ফারুক, তরুণ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আজিজ উল্লাহ, সমাজকর্মী মোহাম্মদ করিম উল্লাহ, মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ সহ মুসল্লী ও এলাকাবাসী তাঁদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে মসজিদে বায়তুল্লাহ কমপ্লেক্সেের ইমাম হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ কাউসার, সহকারী ইমাম হাফেজ মাওলানা আবদুর রহিম, বিশিষ্ট আলেম মাওলানা নুর মোহাম্মদ, হাফেজ মাওলানা আলম নুর, আলহাজ্ব মোহাম্মদ জালাল, মোহাম্মদ সিদ্দিক সওদাগর, কক্সবাজার জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী বখতিয়ার হোসেন, আইনজীবী সহকারী মোহাম্মদ রাসেল, নজরুল ইসলাম, সমাজকর্মী আবুল কালাম, সাংবাদিক সানজিদুল আলম সজীব, সাংবাদিক মহিউদ্দিন মাহি, সমাজকর্মী আবুল কালাম, মোজাম্মেল হক, জসিম উদ্দিন, মঞ্জুর আলম, জহির আলম, মোহাম্মদ হোসাইন সওদাগর, মিনি টমটম মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সহ অর্ধ সহস্রাধিক মুসল্লী ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।