সংবাদদাতাঃ
সিনহা খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস ছাড়া নিজের দায়েরকৃত মামলার সকল আসামিকে বিনা পয়সায় নিঃশর্তভাবে ক্ষমা করে দিয়েছেন নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান।
২০ আগস্ট ফজরের নামাজের পর ফরিদুল মোস্তফা খান নিজের ফেসবুক আইডিতে স্টাটাসের মাধ্যমে এ কথা জানান। এসময় অন্যায়ের প্রতিবাদী সত্য ন্যায় এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য দেশবিদেশের সাধারণ মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয় ফরিদুল মোস্তফা খান মন্তব্যের বক্সে ক্ষমা করার মানবিক ব্যাখাও দিয়েছেন।
তার পুরো স্ট্যাটাস এবং ব্যাখ্যা পাঠকদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলোঃ
ওসি প্রদীপ ছাড়া সকল পুলিশ সদস্য এবং আমার মামলার সব আসামিকে বিনা পয়সায় নিঃশর্তভাবে ক্ষমা করে দিলাম।
বিস্তারিত কমেন্টে.....
কারন উনাদের কারো সাথে আমার ব্যক্তিগত বা পেশাগত শত্রুতা ছিলনা।
মাদক নির্মুলের নামে টেকনাফের সরকারি দলের বিতর্কিত এমপি বদিও তার পরিবারের মাদক সিন্ডিকেটের নির্দেশনায় নিজেও বেপরোয়া মাদক সেবন ও ব্যাবসায় উম্মাত টেকনাফের সেই বিপথগামী ওসি প্রদীপের বিচার বহির্ভূত মানুষ হত্যা নীরীহ মা বোনদের সতিত্বহানী এবং গননির্যাতন মিথ্যা মামলার বস্তিনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ করায় সেদিন তৎকালীন দায়িত্বশীল ক্ষমতাধর ওসির নির্দেশেই ওনারা আমাকে ঢাকা থেকে ধরে এনে হামলা মামলা করে জেলে পাঠিয়েছিল।
এদের কোন দোষ নেই।
প্রদীপ তাদের করতে বাধ্য করিয়েছিল।
এই, কারনে কোন কারন ছাড়াই ৪ হাজার পিছ ইয়াবা, ২ টি দেশীয় তৈরি বন্দুক ৫ রাউন্ড কার্তুজ, দেশী-বিদেশী মদ বিয়ার উদ্ধার এবং চাঁদাবাজীর মিথ্যা কল্প কাহিনী সাজিয়ে ৬ টি মিথ্যা মামলা দিয়ে পাষবিক নির্যাতন চালিয়ে তারা আমাকে টানা ১১ মাস ৫ দিন কারাগারে রেখে প্রদীপ ও বদির মাদক সিন্ডিকেট দিয়ে কারাগারের ভেতর ও বাইরে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
ওই সময় চরম বৈরী পরিবেশে উপরে আল্লাহ নিচে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান কামাল ভাই সহ যারা আমাকে প্রান রক্ষা, কারাগারে সু চিকিৎসা, সার্বিক নিরাপত্তা এমনকি কারামুক্তি এবং আজ পর্যন্ত টিকে থাকতে গোপনে প্রকাশ্যে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন দৃশ্য অদৃশ্য মানব সেই সব মহামানবদের কাছে আমি ও আমার পরিবার কৃতজ্ঞ।
মহান আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দিক।
উল্লেখ্য টেকনাফ উখিয়ার সেই সময়ের দায়েরকৃত প্রদীপ ও বদি সিন্ডিকেটের সকল মিথ্যা মামলা আইনগত পক্রিয়ায় সমাপ্তি, খুনের শিকার নীরহ ক্ষতি পুরন এবং প্রানের উখিয়া টেকনাফকে সত্যিকার মাদক ঘুষ দুর্নীতি এবং ভিক্ষা মুক্ত করে দেওয়ার জন্য আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের জন্য সরকারি প্রধানমন্ত্রী সহ সরকারের দলীয় নীতি নির্ধারকদের দোয়া প্রত্যাশা করছি।
একই সাথে প্রানের উখিয়া টেকনাফবাসীর আরও বেশি আন্তরিক ভালোবাসাও দোয়া চাই।
আমি গণমাধ্যম ও সৃষ্টির কল্যানে জীবনের শেষ রক্তবিন্দু উৎসর্গ করে দিতে চাই।
- ফরিদুল মোস্তফা খান।
নির্যাতিত সাংবাদিক এবং সম্পাদক ও প্রকাশক দৈনিক কক্সবাজারবাণী।
মোবাইল -০১৭২৭৭৯৬০৭৯।
সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার জীবন বৃত্তান্ত:
পুরো নাম ফরিদুর মোস্তফা খান।কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত আলোচিত দৈনিক কক্সবাজারবানী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক তিনি।জনতারবানী নামে তার আরও একটি জাতীয় দৈনিক রয়েছে,যা আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনো বাজারে আসেনি।
এছাড়া তিনি জাতীয় শীর্ষ দৈনিক আমাদের নতুন সময়,আমাদের সময় ডটকম,আমাদের অর্থনীতি,ডেইলি আওয়ার টাইম,নতুন ধারা,সাপ্তাহিক কাগজ,সচিত্র সময়,মিডিয়া ওয়াচ,ও বিনোদন পত্রিকা তারকা কাগজের কক্সবাজারস্থ আবাসিক সম্পাদক।
ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত সাদাসিধে নরম মনের পরোপকারী এই সাংবাদিক সুমাইয়া মোস্তফা খান,সাহেদুল মোস্তফা খান, সাদিয়া মোস্তাফা খান,সাজেদুল মোস্তফা খান, ও সাঈদুল মোস্তফা খান,নামের (১৪আগস্ট২০২৩ পর্যন্ত) ৫ সন্তানের জনক।
কক্সবাজারে অন্যায়ের প্রতিবাদ ও সত্য সাংবাদিকতার জন্য দেশবিদেশে খ্যাতিমান নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানের পিতা ছিলেন টেকনাফের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক,জনপ্রিয় সমাজ সেবক মরহুম ডা:মোহাম্মদ ইসহাক খান।যার হাতেই সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানের প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু।
মাতা বেগম বাহার।
গ্রাম সীমান্ত জনপদ টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়া বাজার পশ্চিম সাতঘড়িয়া পাড়া।১৯৮২ সালের ৯ই মে রোজ সোমবার সুবেহ সাদিকের দিকে তার জন্ম।তবে এসএসসি সনদে জন্ম তারিখ ১০ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪।
২০০০ সালের আগেও টেকনাফের গ্রামের বাড়িতে শিক্ষক পরিবারে থাকতেন তিনি।পিতার প্রতিষ্টিত স্থানীয় নয়া বাজার উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে মানবিক বিভাগে মেধা তালিকায় এসএসসি পাশের পর কক্সবাজার সরকারি কলেজেই তার পড়ালেখার সফল সমাপ্তি।
শৈশবে ছোট গল্প,কবিতা,লেখালেখিতে জনপ্রিয় ফরিদুল মোস্তফা খানের সাংবাদিকতার হাতেখড়ি ২০০১ সালের শুরুর দিকে।তৎকালীন সময়ের নন্দিত লেখক বরেণ্য সাংবাদিক কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আতাহার ইকবাল সম্পাদিত দৈনিক বাঁখালীর স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতায় অভিসিক্ত সেই ফরিদুল মোস্তফা খান কক্সবাজারের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম জগতে এক আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্যক্তি।
কেউ স্বীকার করুর আর নাই করুক একথাই সত্যি স্বাধীনতার পর কক্সবাজারের ইতিহাসে প্রান্তিক সাংবাদিকতার বাস্তব অভিজ্ঞতায় যে ক’জন সম্পাদক প্রকাশক বা সাংবাদিক রয়েছেন, ফরিদুল মোস্তফা খান তৎমধ্যে বয়সে সবার কনিষ্ট।
সময়ের ব্যবধানে হামলা মামলা জেল জুলুম নানা ঘাত প্রতিঘাত চড়ায় উতরাই পেরিয়ে সফলতার ধারপ্রান্তে উপনীত কক্সবাজারের এই তুঁখোড় মেধাবী সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান সেই ২০০১ সাল থেকে একে একে দৈনিক বাঁকখালী,পাক্ষিক মেহেদী (বর্তমান দৈনিক মেহেদি) প্রত্রিকা ছাড়া ও বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজার কেন্দ্র,দৈনিক রুপসীগ্রাম,দৈনিক সৈকত,দ্যা ডেইলি নিউজ টুডে,দৈনিক খবর পত্র,দেশ বাংলা,সাপ্তাহিক খবরের অন্তরালে,দৈনিক কালবেলা,দৈনিক খবর পত্র,দৈনিক আমাদের কন্ঠ ও আজকের বসুন্ধরা পত্রিকায় অত্যন্ত সুনামের সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন।
মাদক নির্মুলের নামে কতিপয় বিপদগামীদের নিজেদের বেপরোয়া মাদক সেবন,ব্যাবসা,ও বন্দুকযুদ্বের নামে বিচার বহির্ভুত মানুষ হত্যা জন্য পুলিশের চাকরিচ্যুত মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত বিতর্কিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় চরম বৈরী পরিবেশে ‘টাকা না দিলে ক্রসফায়ার দেন টেকনাফের ওসি এবং জেলার আইন শৃঙ্খলার অবনতি শিরোনামে একের পর এক সংবাদ পরিবেশন করে সারা পৃথিবীতে তোপাড় সৃষ্টিকারি এই সাহসী সাংবাদিক ক্ষিপ্ত ক্ষমতাধর ওসি প্রদীপ ও তার লালিত মাদক সিন্ডিকেটের নির্মম শারিরীক নির্যাতনের শিকার হয়ে একসাথে ৬টি মিথ্যা মামলার টানা ১১ মাস ৫ দিন কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম কারাগারে মানবেতর জেল খেটেছেন। এই সময় বাইরে থাকা তার স্ত্রী সন্তান মা বোন পরিবার পরিজন ছিলেন নিরাপত্তাহীনতা ও চরম অভাব অনটনে।
কক্সবাজারে পুলিশী নির্যাতিত ফরিদুল মোস্তফা খানই এক মাত্র সাংবাদিক যিনি নানা কারনে মফস্বলের সাংবাদিক হওয়া সত্যেও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একজন নির্যাতিত মজলুম সাংবাদিক হিসেবে সমানভাবে পরিচিত এবং সম্মানিত।
সত্য ও নীতির প্রশ্নে আপোষহীন একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কারো কাছে হার না মানা এই সাংবাদিকের লেখালেখি ও বিদ্রোহী সাংবাদিকতার কারনে কক্সবাজারে একজন সত্যিকার বন্ধু নেই বললেই চলে।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি জীবনে প্রেস ক্লাবের সভাপতির বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশনের কারনে তিনি কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এবং স্থানীয় সাংবাদিক সমাজে অবাঞ্ছিত এক ব্যাক্তি।
খেয়ে না খেয়ে সাংবাদিকতা পেশায় ঠিকে থাকতে তিনি সংক্ষুব্দ ব্যাক্তিদের কাছ থেকে জীবনে অনেক হামলা মামলা জেল জুলুমের স্বীকার হয়েছেন।
জানা গেছে, কক্সবাজারের সাংবাদিকতায় অপ্রতিরোধ্য তারুণ্য ফরিদুল মোস্তফা খান সাংবাদিকতার অবসরে আধ্যাতিকতা,সমাজসেবা ও লেখালেখিতে বিরামহীন এক কলম সৈনিক।
তার লেখা বেশ কিছু গান বৃহত্তর চট্টগ্রামের জনপ্রিয় সুরকার আজম চৌধুরী মিউজিক কম্পোজিশন করেছেন।
যা অডিও ভিডিও এ্যালবাম আকারে বাজারে আসার প্রস্তুতির পাশাপাশি ফরিদুল মোস্তফা খান লিখিত বিশ্বনেতা বঙ্গবন্ধু,মেজর জিয়ার কথা বলছি,জোস্নার আধার, নরকজীবন,আধিবাসীদের জীবন ও সংস্কৃতি নামের কয়েকটি গ্রন্থ এবং প্রেম বিরহ বিচ্ছেদ পরকীয়া আসক্তি বিষয়ক কয়েকটি ঔপন্যাস প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে ছাপাখানায়।
সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান মিয়ানমারের রাজধানীর ইয়াংগুন,কলিকাতা,মালয়েশিয়া সহ দেশবিদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় এবং ঐতিহাসিক স্থান সফর করেছেন।
তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার ৪ উখিয়া টেকনাফ আসনে পেশাদার সাংবাদিক ও সচেতন নাগরিক সমাজ মনোনীত সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করছেন বলে জনস্রোতি রয়েছে।
জানাগেছে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান বাংলাদেশ প্রেসইন্সিটিউট পিআইবি সহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সাংবাদিক প্রশিক্ষণ এবং একই পেশায় বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে সরকারি বেসরকারি সম্মানিত পদক পেয়েছেন অনেক।
উলেখ্য কক্সবাজারের মাফিয়া রাজনীতি মাদক ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি এক মুর্তমান আতংকর নাম।
---------------------------------------------------
উখিয়া টেকনাফ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন মজলুম জননেতা নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান
যেদিন থেকে বিবেক বুদ্ধি জাগ্রত হয়েছে সেদিন থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনা এবং সরকারের প্রেমে আমি মুগ্ধ হয়েছি।
দেশ মাটিও মানুষের প্রতি তাদের ভালবাসা
আমাকে তার দল আওয়ামীলীগের তথা স্বাধীনতা
স্বপক্ষীয় কলম সৈনিক করেছে।উখিয়া টেকনাফ বা কক্সবাজারে আমার চেয়ে বড় কোন আওয়ামী কলম সৈনিক নেই।
কিন্তুু দুর্ভাগ্য আমি সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারিনি।
প্রকাশ করলে ওরা আমাকে আরও আগে খুন-ঘুম হামলা মামলা করে স্বপরিবারে নির্মুল করে দিত।
এরকম ওরা আরও অনেককে করে দিয়েছে।যারা বেঁচে থাকলে বা টিকে থাকলে উখিয়া টেকনাফে এমপি মন্ত্রীর অভাব হত না।ফলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি কক্সবাজার ৪ উখিয়া-টেকনাফ সংসদীয় আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন চাইবো।
বিনা পয়সায় মনোনয়ন পাব কিনা সেটা মানবতার মা বিশ্বনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলীয় নীতি নির্ধারকদের বিবেকের ব্যাপার।না দিলে গণমাধ্যম ও সৃষ্টির কল্যানে আমি স্বতন্ত্র সাংসদ নির্বাচন করব।
যেহেতু আমার দলীয় কোন পদপদবী আজ পর্যন্ত নেই তাই বহিষ্কারের কোন ভয়ও নেই প্রিয় উখিয়া-টেকনাফ বাসী সৃষ্টিকর্তা ছাড়া দুনিয়ার কেউই আমাকে আপনাদের কাছ থেকে আলাদা করতে পারবে না।
বেঁচে থাকলে শহীদ না হওয়া পর্যন্ত আপনাদের ভোট এবং মৌলিক অধিকারের জন্য লড়াই করে যাব ইনশাআল্লাহ।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।