ওমর ফারুক সোহাগ:

স্বাক্ষর জালিয়াতির দায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক দাবি করে আসা নুরুল ইসলাম জুলহাস নামে একজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকালে ঢাকা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১৩ এর বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।

জানা যায়, আসামি নুরুল ইসলাম জুলহাস মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুড়ী ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের পুত্র। তার বিরুদ্ধে দেশের জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন আনন্দ টিভির বিভিন্ন কাগজপত্রে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সে মামলার তদন্ত করে আসামি নুরুল ইসলাম জুলহাসের বিরুদ্ধে অসঙ্গতির প্রমাণ পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এদিকে, তার স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি আদালতে অভিযুক্ত জুলহাস অস্বীকার করলে স্বাক্ষর পরীক্ষা করতে তা পাঠানো হয় ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) বা অপরাধ তদন্ত বিভাগে। সেখানে সিআইডির হস্তলিপি ব্যুরোর পরীক্ষাগারে তার বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণিত হয়।

এ মামলায় দীর্ঘ তদন্ত এবং আদালতের বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে আসামি নুরুল ইসলাম জুলহাসকে তার সপক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য করেন আদালত। এদিন সকালে তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। এসময় আদালত নুরুল ইসলাম জুলহাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, কারাগারে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আসামি নুরুল ইসলাম জুলহাস রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের একটি ভাড়া বাড়ীতে পরিবারসহ বসবাস করে আসছিলেন। আদালত সুত্র জানায়, এর আগে একই মামলায় চলতি বছরের জুন মাসে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। সে পরোয়ানা মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে পৌঁছলে তার বাসায় একাধিকবার অভিযান চালালেও পলাতক ছিলেন তিনি। গা ঢাকা দিলেও সবশেষ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে যেতেই হলো নুরুল ইসলাম জুলহাসকে।