অত্যাচারীদের দমনে যুগে যুগে শ্রীকৃষ্ণের আগমণ ঘটেছে
এম.এ আজিজ রাসেল :
পর্যটন নগরী কক্সবাজারে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে জন্মাষ্টমী উৎসব-২০২৩। এ উপলক্ষ্যে বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে গোলদিঘির পাড় থেকে মহা শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে রাধা-কৃষ্ণসহ নানা সাজে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেয় সনাতনী সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ। বিশাল শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে।
এর আগে জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উদ্বোধক ছিলেন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। তিনি বলেন, “যেকোন ধর্মে পাপিষ্ঠদের স্থান নেই। অত্যাচারীদের দমনে যুগে যুগে শ্রীকৃষ্ণের আগমণ ঘটেছে। আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী গণমানুষের সংগঠন আওয়ামী লীগ সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। তাই আসুন, আমরা সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব একটি অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধদেশ গড়ে তুলি। প্রতিষ্ঠা করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’।”
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। তিনি বলেন, “জন্মাষ্টমী হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। দুষ্টের দমন ও সৃস্টের রক্ষায় অত্যাচারী রাজা কংসকে দমন করতে মহাবতার শ্রীকৃষ্ণ আবির্ভূত হয়েছিলেন। সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূলদর্শন। যেখানেই অন্যায়-অবিচার ধরাধামকে গ্রাস করেছে, সেখানেই শ্রীকৃষ্ণ আবির্ভূত হয়েছেন আপন মহিমায়। তাই কেউ সম্প্রীতি বিনষ্ট করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে। তিনি ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।”
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন কক্সবাজার পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, “ঐতিহ্যবাহী গোলদিঘি হিন্দুদের ব্যবহারের জন্য অচিরেই ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া শিগগিরই কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানের উন্নয়নে ৫০ লক্ষ টাকার টেন্ডার আহ্বান করা হবে। মঠ-মন্দিরের উন্নয়নে কক্সবাজার পৌর পরিষদ বদ্ধপরিকর। ”
জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন পাল নাজিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন, সহ-সভাপতি দীপক দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা এডভোকেট রনজিত দাশ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জ্বল কর, সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশ, কাউন্সিলর রাজ বিহারি দাশ, কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবির, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট বাপ্পী শর্মা ও সাধারণ সম্পাদক বলরাম দাশ অনুপম।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।