মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি:
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় ১৩ বছরের রোহিঙ্গা শিশুর দায়ের কোপে ৬ বছরের আরেক রোহিঙ্গা কন্যা শিশু নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি বাঁশখাইল্লা ঝিরির মুসলিম পাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। নিহত শিশুর নাম সাদিয়া মনি (৬)। সে বাঁশখাইল্লা ঝিরির মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা মো. ইদ্রিসের মেয়ে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিশু মো. হেলাল উদ্দিনও একই পাড়ার নবী হোসেনের ছেলে। ঘটনার পর অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৩ বছর আগে নবী হোসেন ও ইদ্রিস নামের দুই রোহিঙ্গা পরিবার বাঁশ খাইল্লাঝিরির মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা জনৈক নাজেম উদ্দিনের বাগানে কেয়ারটেকার হিসেবে বসবাস করছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে ইদ্রিসের মেয়ে সাদিয়া মনি ঘর থেকে খেলতে বের হন। খেলারচ্ছলে পাশের বাড়ির হেলাল উদ্দিন তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে সাদিয়া মনিকে দা দিয়ে কোপ দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান সাদিয়া মনি। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নে টাকার হিসাব নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে বড় ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আপ্রুছিং মার্মা জানান, তিন বছর আগে দুই রোহিঙ্গা পরিবার বাঁশখাইল্লা ঝিরির মুসলিম পাড়ায় বসবাস শুরু করেন। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনার পর শিশু হেলাল উদ্দিনকে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম শেখ বলেন, রোহিঙ্গা শিশু হেলাল উদ্দিনের দা’র কোপে সাদিয়া মনি নামের আরেক শিশু নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিনকে আটক করে জিঙ্গাসাবাদের পাশাপাশি নিহত শিশু সাদিয়া মনির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বান্দরবান সদর মর্গে পাঠানো হয়েছে।