শাহেদুল ইসলাম মনির, কুতুবদিয়া :

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় পাওনা পাঁচ হাজার টাকা ফেরত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে বোটের মাঝির মারধরে

মাল্লার নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার বিকালে কুতুবদিয়া থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেছেন নিহত মাল্লার ফজল করিমের স্ত্রী শারমিন আকতার (২৫)।

এতে ৪ জনকে এজাহার নামীয় ও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শুভ রঞ্জন চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এজাহারনামীয় অভিযুক্তরা হলেন, নাছির উদ্দিন মাঝি(৩৫), মোঃ মিয়া মাঝি (৩১), সাহাব উদ্দিন (৪৫), সর্বপিতা-মৃত নুরুল আলম, বাহাদুরের ছেলে

মুখাচ্ছের (২০)। এরা সবাই উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের জুম্মা পাড়া, ০৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

ওসি বলেন, ফজল করিম নিহত হওয়ার ঘটনায় বাদীর দায়ের করা এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে কুতুবদিয়া থানার মামলা নং-২, তারিখ- ৭ অক্টোবর ২৩ ইং।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, নাছির উদ্দিন মাঝির কাছ থেকে সাগরে মাছ মারার জন্য অগ্রীম ৫,০০০/-টাকা নেয় ফজল করিম। ঘটনার দিন ইউপি সদস্য হোসাইন, জসিম, ও দোকানদার ছলিম উল্লাহ সামনে মাল্লা ফজল করিমের কাছে ৫ হাজার টাকা ফেরৎ দিতে বলেন গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় ছাঁদের ঘোনা এলাকায় নাছির উদ্দিন মাঝি(৩৫), নেতৃত্বে জলদস্যু মোঃ মিয়া মাঝি (৩১), সাহাব উদ্দিন (৪৫), মুখাচ্ছের (২০) কিন্তু টাকা ফেরত দিতে আরও কয়েকদিন সময় রাখবে বললে এতে টেনে হিঁচড়ে দোকান থেকে বের করে নিয়ে যায় ফজল করিমকে

। এসময় জামাল চৌকিদারের বাড়ীর সামনে কালভাটের উপরে নিয়ে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে খবর পেয়ে ফজল করিমের বড় ভাই টাকা নিয়ে গেলে মাটিতে পড়া অবস্থা দেখতে পায় এবং রক্তবমি করতে দেখে স্থানীয় লোকজন দ্রুত ফজল করিমকে কুতুবদিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক চট্টগ্রাম হাসপাতালে রেফার করেন। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। আরও ৩-৪ জন জড়িত রয়েছে বলে বাদীর সন্দেহ রয়েছে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।

কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।