নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরে শাহ আবদুল মালেক হজ্ব কাফেলা নামে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পরিচয়দাতা মো. ওমর ফারুক ওমরাহ ভিসা প্রদানের কথা বলে ১৬ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সৌদি আরব যাওয়ার টিকিট সরবরাহ করলেও ফ্লাইট বাতিল করে। বন্ধ করে ফেলেছে ব্যবহারের মোবাইল। সদর থানার পেছনের হোটেল তাজসেবাস্থ তাদের অফিসে গেলে কাউকে পাওয়া যায় নি। দরজায় ঝুলছে তালা। হদিস মিলছেনা শাহ আবদুল মালেক হজ্ব কাফেলার মালিক ওমর ফারুকের। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত ওমরাহ হজ যাত্রীরা চরম ক্ষোভ জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে মোহাম্মদ ইসমাইল নামক একজন ভুক্তভোগি সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন। তিনি শহরের মধ্যম নুনিয়ারছড়া ফিশারীপাড়ার মৃত জাফর আলমের ছেলে।

মোহাম্মদ ইসমাইল অভিযোগ করে বলেন, সদর থানার পেছনের সড়কে হোটেল তাজসেবার ৩য় তলায় একটি কক্ষে শাহ আবদুল মালেক হজ্ব কাফেলা নামে ট্রাভেল এজেন্সির সাইনবোর্ড টাঙিয়ে হজ্ব, ওমরাহ, ভিসা প্রসেসিং, বিমানের টিকিট বিক্রি ইত্যাদি সেবা প্রদানের নামে বিজ্ঞাপন প্রচার করে। তাতে আকৃষ্ট হয়ে আমিসহ এলাকার ৫ পরিবারের ১১ জনের ওমরাহ ভিসা বাবদ আমার মা, স্ত্রী, ছেলেসহ চারজনের জন্য ৬ লক্ষ টাকা প্রদান করি।

একইভাবে আমার প্রতিবেশি মো. ইছহাক আড়াই লক্ষ টাকা, আবদুর রহিম ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা, এখতিয়ার উদ্দিন ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা, মমতাজ উদ্দিন ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা প্রদান করেন।

সাইনবোর্ডে শাহ আবদুল মালেক হজ্ব কাফেলা উল্লেখ করলেও আমাদের নিকট থেকে গ্রহণকৃত টাকার বিপরীতে রশিদ দিয়েছে পিসফুল হজ্ব কাফেলর নামে। যে প্রতিষ্ঠানটির হেড অফিস চট্টগ্রাম বলে আমাদের জানায়।

ভুক্তভোগি মো. ইছহাক বলেন, ১৭ অক্টোবর সৌদিয়ার ফ্লাইট দেখিয়ে আমাদের বরাবর টিকিট সরবরাহ করে মো. ওমর ফারুক। কিন্তু ১৫ অক্টোবর হঠাৎ ওই টিকিট বাতিল করে। তাতে সন্দেহ হলে ১৬ অক্টোবর অফিসে গিয়ে আমাদের প্রদানকৃত ১৬ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা ফেরত চাই। সে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায়। বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে। প্রতারণার অভিযোগে পুলিশে সোপর্দ করার উদ্যোগ নিলে তার পাশের আরেকটি অফিস ইসলামি ইউনিক্স মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি. এর প্রধান ছৈয়দ মিয়া কিছুক্ষণের জন্য জিম্মাদার হন। এরপর আমাদের নিকট থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরই মধ্যে অফিস দু’টি তালাবদ্ধ করে চম্পট দেয় দুইজনই।

এ বিষয়ে থানার ডিউটি অফিসার এসআই কামরুজ্জামান বলেন, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা চলমান।

তবে অভিযুক্ত মু. ওমর ফারুকের ব্যবহারের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।