আন্তর্জাতিক ডেস্ক
টানা তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। অবিরাম এই হামলায় ইতোমধ্যেই ৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা প্রচুর।
এই পরিস্থিতিতে গাজায় গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। একইসঙ্গে বাস্তুচ্যুতি রোধ এবং জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণ বন্ধ করারও আহ্বান জানিয়েছে তিনি।
এমনকি গাজায় রক্তস্রোতের মধ্যেও বিশ্ব কীভাবে নীরব থাকে, সেই প্রশ্নও রেখেছেন আব্বাস। রোববার (২৯ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের ‘গাজায় গণহত্যা’ বন্ধে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
পিএলও নির্বাহী কমিটির এক বৈঠকে আব্বাস এই আহ্বান জানান বলে ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে। আব্বাস বলেন, ‘আগ্রাসন বন্ধ, মানবিক সহায়তা প্রদান, বাস্তুচ্যুতি রোধ এবং জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী ও বাহিনীর আক্রমণ বন্ধ করার’ আহ্বান জানাচ্ছে ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব।
ফিলিস্তিনি এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘গাজায় বর্বর ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। এই রক্তস্রোতের মধ্যেও বিশ্ব কীভাবে নীরব থাকবে?’
এদিকে গাজায় চলমান আক্রমণ আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এই পরিস্থিতিতে গাজার বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষিত করার জন্য জরুরি আবেদন জানিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি)-এর প্রেসিডেন্ট।
মিরজানা স্পোলজারিক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মানুষের দুর্ভোগের অসহনীয় মাত্রায় আমি মর্মাহত এবং সংঘাতরত পক্ষগুলোকে এখনই প্রশমিত হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
সংঘাতের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে সম্মান করার অনুরোধও করেন মিরজানা স্পোলজারিক। তিনি বলেন, ‘এত বেসামরিক মানুষের মর্মান্তিক ক্ষতি দুঃখজনক। ব্যাপক বোমাবর্ষণের মধ্যে গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের যাওয়ার জন্য কোনও নিরাপদ জায়গা না থাকাটা অগ্রহণযোগ্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘সামরিক অবরোধ জারি রাখার ফলে গাজায় বর্তমানে পর্যাপ্ত মানবিক কর্মকাণ্ড চালানো সম্ভব নয়। এই সর্বনাশা ব্যর্থতা সহ্য করা উচিত নয় বিশ্বের।’