অনলাইন ডেস্ক: ক্ষমতাসীনদের গুণ্ডারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় আমার বাসায় ককটেল মেরেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় পর পর দু’টি ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী ও মির্জা আব্বাসের সহধর্মিণী আফরোজা আব্বাস।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ যুবলীগের ছেলেরা প্রেস-লেখা জ্যাকেট পরে ককটেল মেরেছে। এ সময় পুলিশ তাদের নিরাপদে ঘটনাস্থল ত্যাগে সহায়তা করে।
আফরোজা আব্বাস বলেন, কালো পোশাক ও হেলমেট পরিহিত দুজন মোটরসাইকেল আরোহীকে শনাক্ত করার পরও পুলিশ কোন সহায়তা করেনি। এতেই বুঝা যায় এই সরকার থাকলে ন্যায় আমরা বিচার পাব না।
তিনি আরও বলেন, মির্জা আব্বাস জেলে এমন পরিস্থিতিতে বাসায় ককটেল হামলার ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় একটি মোটরসাইকেলে করে দুজন আরোহী এসে পর পর দু’টি ককটেল নিক্ষেপ করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, একটি ককটেল বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় এবং অপর একটি ককটেল অবিস্ফোরিত থাকে। এ সময় পুরো বাড়ি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।
দিদার জানান, মুহূর্তের মধ্যে বাসায় অবস্থান করা মির্জা আব্বাসের নিরাপত্তা কর্মীরা দৌড়ে গেলে মোটরসাইকেলটি নিরাপদে চলে যায়। এ সময় নিরাপত্তা কর্মীরা বাসার গেটের সামনে গিয়ে ৬ থেকে ৮ জন পুলিশকে বহন করা ৩ থেকে ৪টি মোটরসাইকেল অবস্থান করতে দেখেন।
মোটরসাইকেল আরোহী এবং ককটেল নিক্ষেপের ঘটনাটি পুলিশের কাছে জানতে চাইলে এ বিষয়ে পুলিশ কোনো সদুত্তর না দিয়ে ককটেল নিক্ষেপকারী আরোহীসহ মোটর সাইকেলটিকে এস্কর্ট দিয়ে নিয়ে যায় বলে মির্জা আব্বাসের নিরাপত্তা কর্মীরা জানান।
- সময়েরকন্ঠস্বর